সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা সংক্রমণ বাড়ছে ক্রমাগত। এই পরিস্থিতিতে প্রত্যেকটি মানুষ যত বেশি গৃহবন্দি থাকবেন, তত তাড়াতাড়ি করোনাকে হারানো সম্ভব হবে। নইলে লকডাউনের গুরুত্বই থাকবে না। তাই নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের জন্য রোজ রোজ বেরনোর অভ্যাস বদল করুন। তার পরিবর্তে বরং সপ্তাহখানেকের জন্য গুরুত্বপূর্ণ জিনিস কিনে রাখুন একসঙ্গে। কিন্তু ভাবছেন, সবজি, মাছ ভাল থাকবে তো? তাই আপনার জন্য রইল টিপস। সহজ পদ্ধতিতে এভাবেই খাবার সংরক্ষণ করুন।
মা-ঠাকুমা বাজার থেকে আনা সবজি অনেকেই সরাসরি ফ্রিজে ঢোকাতেন না। পরিবর্তে তা ভাল করে ধুয়ে নিতেন। কিন্তু ব্যস্ততার জন্য এখন আর তা হয় না। লকডাউনে হাতে প্রচুর ফাঁকা সময়। তা বলে রোজ রোজ বাজার ছুটবেন না। তার পরিবর্তে বাজার থেকে প্রয়োজনের তুলনায় সামান্য একটু বেশি সবজি কিনুন। ভুলেও তা সরাসরি ফ্রিজে ঢোকাবেন না। পরিষ্কার করে ধুয়ে ফেলুন। এবার রোদে ওই সবজির গায়ে লেগে থাকা জল শুকিয়ে নিন। তারপর তা প্লাস্টিকের ব্যাগে ঢোকান। ফ্রিজের তাপমাত্রা বাড়িয়ে ঢুকিয়ে রাখুন। মাঝেমধ্যে ফ্রিজে থাকা সবজি নাড়াচাড়া করুন। প্লাস্টিক ব্যাগে রাখার ফলে সবজির গায়ে জলকণা তৈরি হতে পারে। সেই জল মুছে নিন। প্লাস্টিক ব্যাগটিকেও শুকিয়ে নিন। তারপর আবার ফ্রিজে রাখুন। এই পদ্ধতিতে সবজি অনায়াসেই এক সপ্তাহ টাটকা থাকবে।
রোজ রোজ বাজার যাওয়ার ঝক্কি কি আপনার নাপসন্দ? তবে আপনি একটু বেশি করে ডাল, সোয়াবিন, যেকোনও ধরনের ডালের বড়ি, পাঁপড়, সুজি কিনে রাখতে পারেন। লকডাউনের ফলে বাইরের কাজ সারার তাড়াহুড়ো নেই। তাই সেই সময় এই সমস্ত শুকনো খাবারদাবার রোদে দিন। তারপর যেকোনও শুকনো কৌটোয় ঢেকে রাখুন। তাতে পোকা ধরার সম্ভাবনা কমবে অনেকটাই।
তবে সুজি রোদে দেওয়ার পরেও অনেক সময় পোকা হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। সেক্ষেত্রে সামান্য আঁচে একটি কড়া বসিয়ে তাতে নাড়াচাড়া করেও রাখতে পারেন।
মাছ কিংবা মাংসও কি সপ্তাহখানেকের জন্য ফ্রিজে সংরক্ষণ করে রাখার কথা ভাবছেন? তার জন্য রয়েছে উপায়। বাজার থেকে কিনে আনার পর ভাল করে ধুয়ে নিন। এবার একটু বেশি করে নুন নিয়ে ওই মাছ বা মাংস মাখুন। এরপর যেকোনও কৌটোয় ভরে ফ্রিজে ঢুকিয়ে রাখুন। রান্নার করার সময় ফ্রিজ থেকে বের করে দেখবেন, আপনার সপ্তাহখানেক আগে কিনে আনা মাছ, মাংসও রয়েছে একইরকম।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.