সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আবহাওয়া বদলের সময়। তাই কখনও চড়ছে তাপমাত্রা পারদ তো কখনও আবার পারাপতন। কখনও গরম আবার কখনও সর্দিকাশি। জ্বরও নতুন কিছুই নয়। সঙ্গে পাল্লা দিয়ে থাবা বসাচ্ছে ডেঙ্গুর মতো রোগও। মশাবাহিত এই জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন বহু মানুষ। চিকিৎসকদের কাছে রোগীর লম্বা লাইন। যদিও চিকিৎসকদের দাবি, ডেঙ্গু নিয়ে অযথা ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। সঠিক ওষুধপত্র এবং খাওয়াদাওয়াতেই একজন ডেঙ্গু রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন। কিন্তু কী খাওয়াবেন আর কোনটা খাওয়াবেন না তা বুঝতে পারছেন না তাই তো? আপনার জন্য রইল টিপস।
ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর অসম্ভব হারে প্লেটলেট কমতে থাকে। তার ফলে স্বাভাবিকভাবেই খুব তাড়াতাড়ি ওই রোগীর ওঠার ক্ষমতাও কমতে থাকে। তাই ডেঙ্গু আক্রান্তকে সবসময় পুষ্টিগুণে ভরা খাবারদাবার খাওয়াতে হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে দু-তিনটি পেঁপে পাতার রস খেলে খুব কমদিনেই ডেঙ্গু রোগী সেরে উঠতে পারেন। এতে মুখে রুচি যেমন ফিরবে, তেমনই আবার প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়াবে পেঁপে পাতার রস।
যেকোনও ডেঙ্গু রোগীর রক্তচাপ কমে যাওয়া স্বাভাবিক। তাই তাঁর রক্তচাপ স্বাভাবিক করার জন্য দুধ খাওয়াতে হবে। তবে এই সময় গরুর পরিবর্তে ছাগলের দুধ খাওয়ানোই শ্রেয়।
ডেঙ্গুর ভাইরাসকে শরীর থেকে তাড়াতে চিকিৎসকরা এই সময় রোগীদের অনেক বেশি জল খাওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু অনবরত জল খেলে বমি হতে পারে রোগীদের। তবে তাতে ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। রোগী শুধু জল না খেতে পারলে তাঁকে বারবার একটু করে ডাবের কিংবা লেবুর জল দিতে পারেন। খাওয়াতে পারেন লস্যিও।
শরীরে আবারও প্লেটলেটের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য রোগীকে খাওয়ান সবুজ শাকসবজি এবং বাদাম।
এই সময় শরীরে আয়রনেরও ঘাটতি লক্ষ্য করা যায়। তাই রোগীকে বেশি করে পেয়ারা, আমলকি, কাজু বাদাম, আখরোট, কিসমিস খাওয়াতে পারেন।
শরীরে ভিটামিন ডি এবং কে’র অনুপাত ঠিক রাখার জন্য ডেঙ্গু রোগীকে খাওয়াতে পারেন ডিমের কুসুমও।
শীত শুরুর জ্বরকে অবহেলা করবেন না। কারণ ক্ষণে ক্ষণে চরিত্র বদলাচ্ছে মশাবাহিত এই জ্বর। গা, হাত, পা এবং মাথা যন্ত্রণা, সর্দিকাশি হলে তড়িঘড়ি চিকিৎসকের কাছে যান। তাঁর পরামর্শ মতো রক্তপরীক্ষা করে ওষুধপত্র খান। আর তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.