সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সময় যাই হোক, ধোঁয়া ওঠা বিরিয়ানি কিংবা চিকেন টিক্কা কাবাব খাওয়ার ইচ্ছে হতেই পারে। একটু বেশি পিঁয়াজ দিয়ে চিলি চিকেন বা কুচো রসুনে ভরতি গারলিক চিকেন খাওয়ার আবার সময় আছে নাকি। বাড়িতে রান্না করতেই পারেন, তবে রেস্তরাঁর রান্নার স্বাদেরও মাহাত্ম্য রয়েছে। সময় হোক বা অসময়, বাঙালির রসনাতৃপ্তির দোসর হয়ে উঠেছে অনলাইন ডেলিভারি ব্যবস্থা। করোনা (CoronaVirus) কালেও তাঁর ব্যতিক্রম নেই। নিউ নর্মালে বাইরে না বেরিয়েও পছন্দের রেস্তরাঁ থেকে মনের মতো খাবার দিব্যি আনিয়ে নেওয়া যায়। অনলাইন এই ডেলিভারি ব্যবস্থাকে উৎসাহ দিতেই নতুন ছাড়ের কথা ঘোষণা করল জোম্যাটো (Zomato)। টেকঅ্যাওয়ে পরিষেবার জন্য আর কোনও চার্জ নেবে না সংস্থা। এমনটাই জানালেন জোম্যাটোর ভাইস প্রেসিডেন্ট (প্রোডাক্টস) রাহুল গাঞ্জু (Rahul Ganjoo)।
সাধারণত, দুই ধরনের ডেলিভারির ব্যবস্থা রয়েছে জোম্যাটো অ্যাপে। একটি হোম ডেলিভারি, যার মাধ্যমে খাবার বাড়ির দরজায় পৌঁছে দেওয়া হয়, আরেকটি টেকঅ্যাওয়ে। দ্বিতীয় পরিষেবায়, গ্রাহক পছন্দের রেস্তরাঁয় খাবার অর্ডার দেন। সেই অর্ডার কখন পাবেন তা জানিয়ে দেওয়া হয়। সেই সময় অনুযায়ীর গিয়ে গ্রাহক নিজেই পছন্দের খাবার নিয়ে নেন। এবার থেকে এই পরিষেবা অ্যাপে পাওয়া যাবে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে।
রাহুল গাঞ্জু জানান, কোভিড (COVID-19) পরিস্থিতিতে খাবার সরবরাহের ব্যবসা ভীষণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিশেষ করে লকডাউনের সময়। জোম্যাটো অবশ্য মার্চের প্রথম লকডাউনের পর থেকে ১৩ কোটি অর্ডার দিয়েছে। তবে সবার ক্ষেত্রে এমনটা হয়নি। রেস্তরাঁগুলিও ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। এই অবস্থা থেকেই ঘুরে দাঁড়ানোর জন্যই বিনামূল্যে টেকঅ্যাওয়ে পরিষেবা দিচ্ছে খাবার সরবরাহকারী সংস্থাটি। সূত্রের খবর, বর্তমানে সারা দেশে ৫৫ হাজারেরও বেশি রেস্তরাঁ জোম্যাটোর মাধ্যমে টেকঅ্যাওয়ে পরিষেবা চালায়। প্রতি সপ্তাহে অন্তত ১০ হাজার এমন ডেলিভারি দেওয়া হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.