সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘রসগোল্লা তুমি কার? বাংলার না ওড়িশার?’ বিতর্কটা দীর্ঘদিনের। তবে বিতর্কের বছর দুই আগেই ইতি ঘটিয়েছে জিআই রেজিস্ট্রেশন। ওড়িশাকে টপকে বাংলাই ছিনিয়ে নিয়েছিল রসগোল্লার জিআই গৌরব। কিন্তু হাল ছাড়েনি ওড়িশা। রসগোল্লা যে তাদেরও গর্ব। এবার তাদের লড়াইকেও মর্যাদা দিল জিআই। তবে ওই রাজ্যের রসগোল্লা পরিচিত হবে ‘ওড়িশার রসগোল্লা’ নামে।
বর্ধমানের সীতাভোগ-মিহিদানা পরীক্ষায় পাশ করেছিল অনেক আগেই৷ এমনকী বাংলার তুলাইপাঞ্জি ও গোবিন্দভোগ চালও পাশ করেছিল৷ কিন্তু গোল বেঁধেছিল রসগোল্লায়। গোল বাঁধার কারণ বাংলার পাশাপাশি ওড়িশাও এই রসগোল্লার পেটেন্ট দাবি করে৷ এরপরই মিষ্টি কার নিজস্ব উৎপাদন, সেই নিয়ে শুরু হয়ে যায় দড়ি টানাটানি। জিআই কর্তৃপক্ষের কাছে দু’রাজ্যই নিজস্ব দাবির স্বপক্ষে যুক্তি পেশ করে। সেগুলি খতিয়ে দেখেই জিআই কর্তৃপক্ষ বছর দুয়েক আগে জানিয়ে দেয়, রসগোল্লা বাংলার নিজস্ব। তাতে ওড়িশার কোনওরকম অধিকার নেই।
কিন্তু এরপরও হাল ছাড়েনি ওড়িশা। সোমবার ‘জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেটর’ তকমাও পেল। তবে পড়শি রাজ্যের রসগোল্লা পরিচিত হবে ‘ওড়িশার রসগোল্লা’ নামে। জিআই ডিপার্টমেন্টের তরফে জানানো হয়, ওড়িশার রসগোল্লা খুব নরম, রসালো। মুখে দেওয়া মাত্রই মিলিয়ে হয়ে যায়। অন্য যেসব জায়গায় রসগোল্লা তৈরি হয় সেগুলি আকারে গোল, সাদা রং ও স্পঞ্জ। তাই ওড়িশার রসগোল্লাকে আলাদা করে জিআই তকমা দেওয়া হল।
ওড়িশার পক্ষ থেকে যে রসগোল্লার পেটেন্ট চাওয়া হয়েছিল, তার সঙ্গে বাংলার বিশ্ববিখ্যাত রসগোল্লার মিলের থেকে অমিল বিস্তর৷ ওড়িশা সরকার যাকে রসগোল্লা বলে দাবি করে, তার স্থানীয় নাম ‘ক্ষীরমোহন’৷ উপকরণ সুজি, ক্ষীর ও গুড়৷ এটি মূলত পুরীর জগন্নাথ দেবের মন্দিরে ভোগ হিসেবে দেওয়া হয়ে থাকে। অন্যদিকে, বাংলার রসগোল্লা মূল উপাদান ছানা ও চিনির রস৷ তাই ‘বাংলার রসগোল্লা’ নামে জিআই তকমা পায়৷ আর এবার পড়শি রাজ্যের গোলাকৃতি, সাদা, রসে টইটম্বুর মিষ্টি পরিচিতি পাবে ‘ওড়িশার রসগোল্লা’ নামে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.