সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বয়স মাত্র আট বছর। কিন্তু তার হাতের জাদুতে মুগ্ধ আট থেকে আশি, সকলেই। লকডাউনে পাক্কা রাঁধুনি হয়ে উঠেছে বছর আষ্টেকের মোই মিন্ট মে থু। শুধু পরিবারের জন্যই রাঁধছে না সে, রাতারাতি সোশ্যাল মিডিয়া সেনসেশন হয়ে ওঠায় এখন তার সুস্বাদু ডিশ বিক্রিও হচ্ছে চড়া দামে।
করোনা মোকাবিলায় মায়ানমারবাসীকে এখনও গৃহবন্দি থাকারই নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। তাই লেখাপড়ার ফাঁকে মাঝেমধ্যেই রান্নাঘরে ঢুকে পড়ে মোই। মায়ের সঙ্গে হাত মিলিয়ে নানা ধরনের খাবার বানাতে দারুণ লাগে তার। গত এপ্রিলে মেয়ের এই কীর্তির একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন মা। যেখানে দেখা যায়, স্পাইসি ফ্রায়েড প্রন বানাচ্ছে ছোট্ট মোই। ব্যস, মুহূর্তে নেটদুনিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায় খুদের ভিডিও। মা ও মেয়েকে প্রশংসায় ভরিয়ে দেন নেটিজেনরা। রাতারাতি স্টার শেফ হয়ে ওঠে মোই। আরও রান্নার ভিডিও দেখার আবদারও আছে বহু। নেটদুনিয়ার বাসিন্দাদের নিরাশ করেননি মোইয়ের মা হানি চো। মেয়ের নানা রেসিপির ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন তিনি।
ক্যাটফিশের স্যুপ থেকে ফ্রায়েড ফ্রগ- এই খুদে পারে না, এমন ডিশই নেই। কে বলবে খুদে হাতের কামাল! রীতিমতো দক্ষ হাতে খুন্তি নাড়ায় সে। শুধু দেখতেই নয়, সেসব ডিশ খেতেও সুস্বাদু। তার প্রমাণ মিলছে বিক্রি-বাটা দেখে। রীতিমতো চড়া দামে খুদের তৈরি খাবার কিনছেন ভোজনরসিকরা। মোইয়ের হাতে ১৫ রকম ডিশ খাওয়ার অপেক্ষায় থাকেন তাঁরা। যার মধ্যে রয়েছে টম্যাটো ফিশ পেস্ট কারি, পর্ক স্টু ইত্যাদি। অর্ডার দিলেই গালভরা নামের সুস্বাদু খাবার পৌঁছে যায় ক্রেতার ঠিকানায়। এক-একটি ডিশের দাম ৭.২০ ডলার। অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় সাড় পাঁচশো টাকা। মেয়ের দৌলতে লকডাউনে বেশ ফুলে-ফেঁপে উঠেছে হানির ব্যবসা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় রাতারাতি স্টার হয়ে ওঠা মোই বলছে, “আমার রান্না করতে খুব ভাল লাগে। লকডাউনে মায়ের সঙ্গে খাবার বানাতে বেশ মজা হয়।” মোই জানায়, বড় হয়ে নামী শেফই হতে চায় সে। তার স্বপ্নপূরণ হবে কি না, সময় বলবে। তবে নিজের হাতের জাদুতে এখনই খ্যাতির শিখরে পৌঁছে গিয়েছে মোই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.