সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতে একটি কুসংস্কার প্রচলিত রয়েছে। অশ্বত্থ গাছের নিচে কখনও ঘুমোতে নেই। ঘুম তো দূরের কথা। রাতে নাকি অশ্বত্থ গাছ থেকে শতহস্ত দূরে থাকতে হয়। নাহলে নাকি ভূতে ধরে। কিন্তু জানেন কি, এই অশ্বত্থ গাছই আপনার আয়ু কয়েক বছর বাড়িয়ে দিতে পারে? কারণ, পৃথিবীতে যে হাতে গোনা কয়েকটি গাছ রাতে অক্সিজেন দেয়, তার মধ্যে অশ্বত্থ হল একটি।
অ্যালোভেরা
যেসব গাছগুলি থেকে মানুষ সবচেয়ে বেশি উপকৃত হয়, অ্যালোভেরা তার মধ্যে শীর্ষে। বাতাস সুস্থ রাখতে আমেরিকার নাসার অন্দরে পর্যন্ত রাখা রয়েছে এই গাছ। এর কোনও পরিচর্যার দরকার হয় না। উলটে এই গাছ থেকে অনেক উপকার পাওয়া যায়। তার মধ্যে অন্যতম হল রাতেও অক্সিজেন তৈরি করা এবং পরিবেশ তা ছাড়া৷
স্নেক প্ল্যান্ট
অ্যালোভেরার মতোই গুণাগুণ রয়েছে এই গাছেরও। এটিও রাতে অক্সিজেন ছাড়ে আর কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্রহণ করে। তাই ঘরের মধ্যে এই গাছ লাগলে উপকার পাওয়া যাবে রাতেও। আর তাছাড়া এই গাছ দেখতেও বেশ সুন্দর। ঘরের শোভা বাড়াতেও এর জুড়ি নেই।
[ আরও পড়ুন: বাহার যখন পাতায়, অন্দর-বাহির সাজানো থাকুক সবুজের আভায় ]
অশ্বত্থ গাছ
এই গাছ নিয়ে কুসংস্কারের অন্ত নেই। কিন্তু স্বাস্থ্যের জন্য এই গাছ খুব উপকারী। শুধু রাতেও অক্সিজেন ছাড়ে বলে নয়, এই গাছ অনেক রোগ নিরাময়ের কাজেও ব্যবহার করা হয়। বিশেষ করে শ্বাসকষ্টের রোগ সারাতে খুব উপকারে লাগে অশ্বত্থ গাছ।
অর্কিড
এর সৌন্দর্যের তুলনা নেই। বেডরুমে বিছানার পাশে অর্কিড রাখলে ঘরের সৌন্দর্যই পালটে যায়। কিন্তু জানেন কি, এই গাছ রাতে আপনাকে কতটা সুস্থ রাখে? সাধারণত গাছ যে সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে অক্সিজেন তৈরি করে, তাতে সূর্যালোক প্রয়োজন হয়৷তাই রাতে তা সেই প্রক্রিয়া বন্ধ থাকে৷ কিন্তু অ্যালোভেরা, স্নেক প্ল্যান্ট ও অশ্বত্থ গাছের মতো অর্কিডও রাতে অক্সিজেনই ত্যাগ করে। ফলে ঘরের বাতাস বিশুদ্ধ করতে সাহায্য করে অর্কিড। রাতেও আপনার ঘর থাকে অক্সিজেনে পরিপূর্ণ।
নিম
নিমের গুণাগুণ অপরিসীম। এটিও রাতে বাতাস শুদ্ধ করতে সাহায্য করে। নিম গাছ সাধারণত বাড়ির বাইরে থাকে। কিন্তু ভিতরেও নিম গাছ লাগানো যেতে পারে। বিশেষ করে বাড়ির মাঝখানে নিম গাছ রাখলে ফল মেলে ভাল। বাতাস শুদ্ধ করা ছাড়া পোকামাকড় দূর করতেও সাহায্য করে নিম গাছ।
[ আরও পড়ুন: বাড়ির অব্যবহৃত জিনিসকে টব বানিয়ে অন্দরের সাজে আনুন বৈচিত্র ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.