Advertisement
Advertisement

Breaking News

দেদার খেয়ে দমের ঘাটতি! ফাস্ট ফুডে বাড়ছে হাঁপানি

রাজ্যের ২৫% মানুষই শ্বাস-প্রশ্বাস জনিত সমস্যায় ভুগছেন!

Fast Food Linked to Asthma
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:May 4, 2018 9:30 am
  • Updated:August 22, 2018 12:39 am  

অভিরূপ দাস: রোল, চাউমিন, পিৎজা খেয়েছেন দেদার। এখন দম নিতে কষ্ট হচ্ছে। লাং ফাংশন টেস্ট করাতে গিয়েই ধরা পড়ল হাঁপানি শিকড় গেড়েছে শরীরে।

দেদার খেয়ে দমের ঘাটতি! ক্যালকাটা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের পালমোনোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. শুভ্র মিত্র সাবধান করেছেন। “পরিবারে হাঁপানির ইতিহাস থাকলে দূরে থাকুন চটজলদি খাবার থেকে।” শহরের একাধিক সরকারি হাসপাতালে থই থই করছে এমন রোগী।

Advertisement

[মহেশতলায় পদ্ম প্রতীকে প্রার্থী কি রাজকমল? জল্পনা গেরুয়া শিবিরে]

কীভাবে?

ফুসফুসের অ্যাবডোমিনাল ফ্যাট বাড়িয়ে দিচ্ছে ফাস্টফুড। দেখা যাচ্ছে মেদবহুল ব্যক্তিরা লম্বা নিশ্বাস নিতে পারছেন না। বুকে তলপেটে অতিরিক্ত মেদ জমছে ফাস্ট ফুড খেয়ে। শ্বাস-প্রশ্বাসকে নিয়ন্ত্রণ করে যে পেশি তাকে প্রয়োজনের তুলনায় দ্বিগুণ পরিশ্রম করতে হচ্ছে। ফলে স্বাভাবিক শ্বাস নিতে গেলেও কপালে ঘাম জমছে। অল্প হাঁটতে গিয়েই বুকে সাঁইসাঁই শব্দ।

সম্প্রতি হাঁপানি নিয়ে সচেতনতামূলক একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন চিকিৎসকরা। সেখানেই ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের ডা. শুভ্র মিত্র জানিয়েছেন, ফাস্ট ফুড আর হাঁপানি একে অপরের দোসর হয়ে উঠেছে। ডা. মিত্রর কথায়, “হাঁপানির সামান্য সমস্যাকেও দ্বিগুণ করে তোলে ওবেসিটি অথবা স্থূলতা। আর এর জন্য দায়ী চটজলদি খাবারই।” শুধু তাই নয় নিয়মিত যাঁরা ফাস্ট ফুড খান তাঁদের গলা দিয়ে টক ঢেকুর ওঠে। চিকিৎসা পরিভাষায় একে বলা হয়, ‘গ্যাস্ট্রোইনটেস্টিনাল রিফ্লাক্স’। হাঁপানির সমস্যাকে কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয় এই গ্যাস্ট্রোইনটেস্টিনাল রিফ্লাক্স।

[ভাগাড়ের মাংস কি KFC-তেও? ধর্মতলার বিপণিতে হানা পুরসভার]

হাঁপানির সঙ্গে চটজলদি খাবারের সম্পর্ক খুঁজে পাওয়ার পর চিকিৎসা পদ্ধতিও বদলে যাচ্ছে আমূল। শুধু স্টেরয়েড নয়, অ্যারোবিক এক্সারসাইজ, যোগব্যায়াম করতে বলা হচ্ছে হাঁপানি রোগীদের। বলা হচ্ছে ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্যও। ডা. মিত্রর কথায়, “সাধারণত সাড়ে পাঁচ ফুট উচ্চতার একজন ব্যক্তির ৬৭ কেজির বেশি ওজন হওয়া উচিত নয়। হাসপাতালে যাঁরা আসছেন তাঁদের ওজন সেখানে ৮০/৯০। ফাস্ট ফুডে প্রচুর পরিমাণ ক্যালোরি থাকে। খাবারের মাধ্যমে প্রতিদিন অতিরিক্ত ১০০ ক্যালোরি গ্রহণ করলেই বছরে পাঁচ কেজি পর্যন্ত ওজন বাড়তে পারে।” এখানেই লাগাম টানতে হবে, বলছেন পালমোনোলজিস্টরা।

কীভাবে বুঝবেন হাঁপানি বাসা বেঁধেছে শরীরে?

ডা. মিত্রর কথায়, হাঁপানি হলেও অনেক সময় বুঝতে পারেন না রোগীরা। অন্য সমস্যার সঙ্গে হাঁপানিকে গুলিয়ে ফেলেন। বুকে চাপ চাপ ব্যথা, রাতে অপর্যাপ্ত ঘুম, শুকনো কাশি হলেই সাবধান হওয়া উচিৎ। লাং ফাংশন টেস্ট করালেই হাঁপানি ধরা সম্ভব।

[৮ কেজি সোনা নিয়ে দমদম মেট্রোয় পাকড়াও উত্তরপ্রদেশের যুবক]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement