ছবি : ফেসবুক
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মনামী ঘোষের (Monami Ghosh) নকশিকাঁথা গাউন নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় জোড় চর্চা। অভিনেত্রীর ফ্যাশন সেন্সের তারিফে মশগুন ভক্তরা। সম্প্রতি বাংলা ফিল্মফেয়ারের লাল গালিচায় সেই পোশাকে মুগ্ধ করেছেন মনামী। কীভাবে তৈরি হল এই নকশিকাঁথা গাউন? সংবাদ প্রতিদিন ডট ইন-কে জানালেন অভিনেত্রী।
শান্তিনিকেতনের যে শিল্পীরা নকশিকাঁথা করেন, তাঁরাই সুতোয় নকশি কাঁথা ফুটিয়ে তুলেছেন মনামী ঘোষের পোশাকে। মনামী জানালেন, “তিনি এসেওছিলেন অনুষ্ঠানের দিন ফাইনাল টাচ দেওয়ার জন্য। গোটা পোশাকে কাঁথা স্টিচ করতে সময় লেগেছে প্রায় ৬/৭ দিন। তারপর গাউনের কাটিং, স্ট্রাকচার তৈরি করতে আরও ১ দিন। সবমিলিয়ে ওই ৮ দিন মতো সময় লেগেছে নকশি কাঁথা গাউনটা তৈরি করতে।”
পশ্চিমী হোক কিংবা ট্র্যাডিশনাল, কোন পোশাক কীভাবে ক্যারি করতে হয়, তাঁর ভালোই জানা। তিনি যেমন শাড়িতে আদ্যোপান্ত বঙ্গনারী হয়ে উঠতে পারেন, তেমনই বিকিনিতেও সমান স্বচ্ছন্দ্য। তবে এবার পাশ্চাত্যের সঙ্গে ঐতিহ্যের মিশেলে ফ্যাশনের নতুন সংজ্ঞা তৈরি করলেন মনামী ঘোষ। অভিনেত্রীর সংযোজন, “কনসেপ্ট, স্টাইলিং, আইডিয়া সবটাই কিন্তু আমার। ভিন্টেজ শ্যানেল গাউন থেকে ইন্সপিরেশন নিয়েই আমার পোশাক ডিজাইন করেছি। ওয়েস্টার্ন গাউনের উপর কীভাবে বাংলার কারুশিল্পকে তুলে ধরা যায়? সেই ভাবনা থেকেই নকশি কাঁথা বেছে নেওয়া। গোটা বিষয়টা এক্সিকিউট করেছে নীল। হেয়ার স্টাইলিংয়ের আইডিয়াটা পেলাম ছোটবেলায় দিদা যেভাবে মাথায় তেল লাগিয়ে চুল বেঁধে দিতেন, সেখান থেকে। সাদা গাউনের সঙ্গে কনট্রাস্ট করে লাল টোটে ব্যাগ নিয়েছি। সেটাতেও পুরো কাঁথা স্টিচ করা।”
বাংলার লোকসংস্কৃতি আর গ্রামীণ কুটির শিল্পের একটি বড় জায়গা দখল করে রয়েছে। বাংলার প্রবাদে, গল্প, গানে কিংবা কবিতায় অমর হয়ে আছে নকশী কাঁথা। জসীমুদ্দিনের রূপাই-সাজুর প্রেমের অমর আখ্যানের সাক্ষী সেই কারুশিল্পকেই এবার পোশাকে ফুটিয়ে তুললেন মনামী ঘোষ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.