সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লাল্টুকে ভোলেননি দর্শকরা। ছাপোষা, সাদামাটা, মধ্যবিত্ত আদ্যোপান্ত পারিবারিক একজন মানুষ। যার ‘মধ্যপ্রদেশ’-ই খাদ্যরসিকতার পরিচয় দিয়েছিল। শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় কী অবলীলাক্রমে সেই চরিত্র ফুটিয়ে তুলেছিলেন পর্দায়। লাল্টুর জুতোয় পা গলানোর পয়লা শর্ত ছিল, প্রচুর খাওয়াদাওয়া করতে হবে। প্রচুর ঘি-ভাত, ফ্যাট জাতীয় জিনিস খেয়ে ভুঁড়ি, থুড়ি ‘মধ্যপ্রদেশ’ বাড়িয়েছিলেন শিবপ্রসাদ। প্রস্থেটিকের সাহায্য নেননি। এবার ‘বহুরুপী’র বিক্রম হতে গিয়েও আবারও শারীরিক গড়ন বদলাতে হয়েছে তাঁকে। রীতিমতো কড়া ডায়েট মেনে চলতে হয়েছে।
লাল্টু থেকে বিক্রম হওয়ার এই সফরটা পুরো উলটো। কারণ এক্ষেত্রে শিবপ্রসাদকে অনেকটা ওজন ঝরিয়ে রোগা হতে হয়েছে। যাতে চরিত্রটা দর্শকদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য হয়ে ওঠে। এক্ষেত্রেও কোনও প্রস্থেটিকের সাহায্য নিতে চাননি। ১২ কেজি ওজন ঝরানোর জন্য তাঁর ভরসা ছিল শুধুমাত্র কড়া ডায়েট। নিত্যদিনের ডায়েট চার্ট থেকে একেবারে ছেঁটে ফেলতে হয়েছিল কার্বস। ঠিক কোন ডায়েট মন্ত্রে এমন অবিশ্বাস্যভাবে ওজন ঝড়িয়ে ফেললেন পরিচালক-অভিনেতা? জেনে নিন।
লাল্টুর চরিত্রে অভিনয় করার সময় শিবপ্রসাদ ওজন বাড়িয়ে প্রায় ৭৮ কেজি করে ফেলেছিলেন। এদিকে ‘বহুরুপী’র বিক্রমের চরিত্রের জন্য সেই ওজনটাকে কমিয়ে তাঁকে ৬৫ কেজি করতে হল। ঢাকতে হয়েছে ডাবল চিনও। যে কারও পক্ষেই ঝট করে ১২ কেজি ওজন কমানো চারটিখানি বিষয় নয়! কেমন ছিল এক্ষেত্রে শিবপ্রসাদের ডায়েট? প্রাতঃরাশে কাঠবাদাম আর চা। তারপর ওটসের রুটি দিয়ে সবজি সিদ্ধ খেতেন। একেবার তেল ছাড়া। দুপুরে তাঁর পাতে কোনও কার্ব থাকত না। সঙ্গে থাকত একবাটি ডালসিদ্ধ। মধ্যাহ্নভোজ থেকে নৈশভোজ অবধি কড়া খাদ্যবিরতি। বিকেলে কোনও খাবার খেতেন না তিনি। খুব খিদে পেলে ভরসা ছিল শুধু ড্রাইফুড। ডিনারের সময়ও বাঁধা ছিল। রাত ৮টার মধ্যে রাতের খাবার সেরে নিতেন। এবং ডিনারের পাতেও কিন্তু কোনওরকম কার্ব জাতীয় পদ থাকত না। শুধু স্যালাড আর সবজি সিদ্ধ খেতেন শিবপ্রসাদ। পরিচালক-অভিনেতা মুড়ি খেতে ভীষণ ভালবাসেন। তবে বিক্রম হওয়ার জন্য তাঁকে রোজকার ডায়েট থেকে বাদ দিতে হয়েছিল বিস্কুট-মুড়ি, ভাত সব। এই ডায়েটেই তিনি এখন অনেক বেশি ঝরঝরে। ওজন কমায় অন্যান্য কোনও শারীরিক সমস্যাও নাকি নেই এখন আর শিবপ্রসাদের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.