চন্দ্রশেখর চট্টোপাধ্যায়, আসানসোল: লকডাউন শিথিল হলেও মুখে মাস্ক ও হাতে স্যানিটাইজার ঘষা অভ্যস্ত করে ফেলেছেন বেশিরভাগ মানুষ। আগামী দুর্গাপুজোতেও এই অভ্যেসের বাইরে কেউ বেরতে পারবেন বলে মনে করছেন ফ্যাশনপ্রেমীরা। সেকথা মাথায় রেখে মাস্ককেই এবারের পুজোয় ‘ফ্যাশন আইকন’ হিসাবে সামনে তুলে ধরছেন এক টেলর মাস্টার। কুলটির মিঠানির বাবন চট্টরাজ এখন ব্যস্ত ম্যাচিং মাস্ক তৈরিতে। কেউ মাস্ক তৈরির অর্ডার দিতে গেলেই তাঁর সাফ কথা, বাড়ি থেকে জামা, চুড়িদার বা শাড়ি আনুন। ম্যাচিং করে মাস্ক বানিয়ে দেওয়া হবে। আর তাতে মহা খুশি জেন ওয়াই থেকে শুরু করে বয়স্করাও। একটু কেতাদুরস্ত তো হওয়া যাবে।
স্ট্রাইপ, এক রঙা বা প্রিন্টেড – যার যেমন জামা বা চুড়িদার দেখছেন, সেরকম কাপড়ের টুকরো খুঁজে তৈরি করে ফেলছেন মাস্ক। ফলে ফ্যাশন কনশাস যুবক-যুবতীরা দ্বারস্থ হচ্ছেন বাবন টেলরের। নিত্য প্রয়োজনীয় কাজে যাঁরা বাইরে বের হচ্ছেন, তাঁদের মুখেও এখন দেখা যাচ্ছে জামার সঙ্গে ম্যাচিং মাস্ক। লকডাউনের পর থেকে টেলর মাস্টার বাবন বাড়িতে বসে না থেকে দোকানে বেঁচে থাকা নানা রঙের কাপড়ের টুকরো দিয়ে মাস্ক তৈরি করছিলেন। পথচলতি ভ্যানচালক, সবজি বিক্রেতা, দিনমজুরদের সেই মাস্ক বিলি করেছেন।
এরই মধ্যে পয়লা বৈশাখে ওর্ডারের জামা প্যান্ট বানাতে গিয়ে সেই কাপড় বাঁচিয়ে কয়েকজনকে মাস্ক তৈরি করে দিয়েছিলেন টেলর মাস্টার। ব্যস, সেই শুরু। তারপর থেকেই বাজারে দেদার বিকোচ্ছে প্রিন্টেড, স্ট্রাইপ, রঙিন মাস্ক। বাবন চট্টরাজ বলেন, খুব কম দামে সুতির কাপড় দিয়ে মাস্ক তৈরি করা হচ্ছে। সুতির কাপড়ের দুটি লেয়ারের মাঝে ফোম দেওয়া হচ্ছে। ফলে N95’এর সমতুল্য হয়ে উঠছে এই মাস্কগুলি। জামা বা চুড়িদার তৈরির অর্ডার দিলে তার সঙ্গে ম্যাচিং করে বাবন টেলর মাস্ক এমনিই বানিয়ে দিচ্ছেন। যারা রেডিমেড জামা এনে মাস্ক তৈরির অর্ডার দিচ্ছেন সেগুলি এক একটি ১৫ থেকে ২০ টাকার বিনিময়ে তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে।
যুবক যুবতীদের দাবি, দেশব্যাপী করোনা করোনা সংক্রমণ রুখতে, মাস্ক ফর অল – স্বাস্থ্যবিধি মানতে পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। ফলে আগামী কয়েকমাস মাস্ক যখন নিত্যসঙ্গী তখন তা ফ্যাশন নয় কেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.