সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বর্ণবৈষম্য নিয়ে উত্তাল গোটা বিশ্ব। সেই আন্দোলনকে সম্মান জানিয়ে ‘ফেয়ার অ্যান্ড লাভলি‘ (Fair & Lovely) থেকে ফেয়ার শব্দটি বাদ দিয়েছে হিন্দুস্তান ইউনিলিভার (Hindustan Unilever)। এবার সেই পথে হাঁটল আরও এক কসমেটিক জায়ান্ট ল’রিয়াল (L’Oreal)-ও। তাঁদের ত্বকের ঔজ্বল্য ফেরানোর ক্রিমের বিজ্ঞাপন থেকে ফেয়ার (Fair), হোয়াইট (White), লাইটেনিং (Lightening) শব্দগুলি বাদ দেওয়া হচ্ছে। শুক্রবারই সংস্থার মুখপাত্র এমনটা জানিয়ে দিয়েছেন। তবে এই দুই সংস্থার থেকেও একধাপ এগিয়ে জনসন এন্ড জনসন (Johnson & Johnson)। তাঁরা এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলিতে ফর্সা হওয়ার ক্রিম বিক্রি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
আমেরিকায় কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর পর থেকেই বর্ণবৈষম্য নিয়ে উত্তাল হয়েছে গোটা বিশ্ব। প্রতিবাদে সরব হয়েছে বিনোদন দুনিয়া থেকে খেলার জগতের তারকারা। তারই মধ্যে সম্প্রতি রোষের মুখে পড়ে Shaadi.com-এর স্কিন কালার ফিল্টারটিও। তুমুল সমালোচনায় বিদ্ধ হয়ে শেষমেশ সেই ফিল্টারটি সরিয়ে দেয় এই ম্যাট্রিমনিয়াল সাইট। এরপরই ফরসা হওয়ার ক্রিমের বিজ্ঞাপনী ভাষা বদলের পথে হাঁটে ফেয়ার এন্ড লাভলি। এমনকী ক্রিমের নামও বদল করতে হয় তাঁদের।
প্রসঙ্গত, প্রসাধননীর দুনিয়ায় অন্যতম বড় দুটি সংস্থা হল ল’রিয়াল ও হিন্দুস্তান ইউনিলিভার। ত্বকের ঔজ্বল্য ফেরাতে, এককথায় ফর্সা হওয়ার জন্য এশিয়ার বিভিন্ন দেশে হিন্দুস্তান লিভারের ফেয়ার অ্যান্ড লাভলি ক্রিমের বিক্রি প্রচুর। সেই তালিকায় রয়েছে ল’রিয়ালের Garnier Skin Naturals White Complete Multi Action Fairness Cream-সহ একাধিক ক্রিম। নেটিজেনরা বলছেন, এবার তাঁদের বিজ্ঞাপনী পরিভাষায় বদল আনার সময়। সে পথেই হাঁটছে সংস্থাগুলিও। কিন্তু সমাজের সেই সমস্ত মানুষ, যাঁরা আজও গায়ের রঙ ফেরাতে এই ক্রিমগুলি মাখার পরামর্শ দেন, কিংবা গায়ের রঙ দিয়ে মানুষের যোগ্যতা বিচার করেন, তাঁদের মানসিকতায় কবে বদল আসবে?
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.