সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কীভাবে যে করোনা (Coronavirus) ছড়িয়ে পড়ছে এবং কীভাবেই যে তাকে রোখা সম্ভব তা নিয়ে বিস্তর মতপার্থক্য রয়েছে। কেউই নিশ্চিতভাবে কিছু বলতে পারছেন না। তবে বিশেষজ্ঞদের অনেকেই বলছেন, ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র ভাইরাসের সঙ্গে লড়াইয়ের জন্য রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি থাকা অত্যন্ত প্রয়োজন। আর সেকারণেই পুষ্টিকর খাবার খাওয়া অত্যন্ত জরুরি। এ তো না হয় ছোট থেকেই শুনছেন। কিন্তু বিশেষ ধরনের একটি শাড়ি পরেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো যায়, সেকথা শুনেছেন কখনও? একথা পড়ে নিশ্চয়ই ভ্রূ কুঁচকেছেন? অবাক হবে মধ্যপ্রদেশ হ্যান্ডলুম অ্যান্ড হ্যান্ডিক্রাফ্টস কর্পোরেশন নাকি এমনই এক বিশেষ ধরনের শাড়ি তৈরি করেছে।
অনেক ভাবনাচিন্তা করে ‘আর্য়ুবস্ত্র’ নামে ওই বিশেষ শাড়ি তৈরি করেছে মধ্যপ্রদেশ হ্যান্ডলুম অ্যান্ড হ্যান্ডিক্রাফ্টস কর্পোরেশন। শুধু শাড়িই নয় অন্যান্য পোশাক এমনকী মাস্কও তৈরি করছে তাঁরা। কিন্তু কীভাবে তৈরি হচ্ছে ওই শাড়ি? মধ্যপ্রদেশ হ্যান্ডলুম অ্যান্ড হ্যান্ডিক্রাফ্টস কর্পোরেশনের তরফে শাড়ি তৈরির পদ্ধতি সম্পর্কে স্পষ্ট জানানো হয়েছে। প্রথমে শাড়ি প্রস্তুতকারকরা লবঙ্গ, দারচিনি, এলাচ, জৈত্রী, গোলমরিচ, জিরে, তেজপাতা নিচ্ছেন। সেগুলি গুঁড়ো করে নেওয়া হচ্ছে। এবার ওই গুঁড়ো ৪৮ ঘণ্টা ধরে জলে ভিজিয়ে রাখা হয়েছে। এরপর ওই ক্বাথের পাত্রটিকে আঁচে বসানো হয়। ওই ক্বাথ থেকে ওঠা বাষ্প ভাল করে শাড়ির বিভিন্ন অংশে লাগানো হয়। এই পদ্ধতিতে একটি ‘আর্য়ুবস্ত্র’ তৈরি করতে সময় লাগে পাঁচ-ছ’দিন।
বিনোদ মালেভারই শাড়ি তৈরির মূল দায়িত্বে রয়েছেন। তাঁর দাবি, “কীভাবে এ ধরনের শাড়ি তৈরি করা হবে, তা নিয়ে আমরা ২ মাস ভাবনাচিন্তা করি। শতাব্দী প্রাচীন এই পদ্ধতিতে তৈরি শাড়ি শরীরে পরলেই বাড়বে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। কমপক্ষে চার-পাঁচবার কাচা পর্যন্ত বজায় থাকবে সেই ক্ষমতা।” তবে বিনোদ মালেভারের দাবির কোনও বৈজ্ঞানিক সত্যতা নেই। মধ্যপ্রদেশ হ্যান্ডলুম অ্যান্ড হ্যান্ডিক্রাফ্টস কর্পোরেশন এই শাড়িগুলিকে বিক্রির বন্দোবস্ত করছে। আপাতত শুধুমাত্র ভোপাল এবং ইন্দোরে পাওয়া যাচ্ছে শাড়িগুলি। বাজারমূল্য ৩ হাজারের বেশি। তবে ভবিষ্যতে ৩৬টি শোরুমে বিক্রি হবে ‘আর্য়ুবস্ত্র’।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.