সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রত্যেক মানুষেরই ব্ল্যাকহেডস একটা বড় সমস্যা। অনেক সময় হোয়াইটহেডসও সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। বিশেষ করে কোনও অনুষ্ঠানের আগে গোটা সাজটাই ঘেঁটে যেতে পারে। বাজারচলতি স্ক্রাবার দিয়ে সমস্যা মিটে যায় ঠিকই। কিন্তু সবসময় কেমিক্যাল ব্যবহার করাও তো ঠিক নয়। তার উপর পরপর কয়েকদিন স্ক্র্যাব না করলে ব্ল্যাকহেডস বা হোয়াইটহেডস বেরনোর সম্ভাবনা থাকে প্রবল। তাই এসব ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভাল বাড়িতে স্ক্র্যাবার তৈরি করা।
নাকের গোড়ায় ব্ল্যাকহেডস বা হোয়াইটহেডস বড় সমস্যা। নাকের রোমকূপের মুখে তেল, ময়লা জমে ব্ল্যাকহেডস তৈরি হয়। সিবাসিয়াস গ্ল্যান্ড থেকে অতিরিক্ত তেল নিঃসরণ হলেও ব্ল্যাকহেডস হয়। ব্রন হলে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ হয়, তার থেকেও হতে পারে। মৃতকোষ রোমকূপে রয়ে গেলে ব্ল্যাকহেডস, হোয়াইটহেডস হয়। পিরিয়ডের সময় হরমোনাল চেঞ্জ হলেও হয় ব্ল্যাকহেডস। বার্থ কন্ট্রোল পিল নিয়মিত খেলে অনেক সময় তেল নিঃসরণ বেড়ে যায়, সেক্ষেত্রেও ব্ল্যাকহেডস বা হোয়াইটহেডস হতে পারে। কোনও বিশেষ গ্রুপের ওষুধ থেকে নাক তথা মুখের ত্বকে ব্ল্যাকহেডস, হোয়াইটহেডস হয়।
কীভাবে দূর করবেন
এসব ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভাল কাজে দেয় ডিম। তবে অবশ্যই ডিম ব্যবহার করার আগে কুসুম আলাদা করে নিতে হবে। ডিমের সাদা অংশটি খুব ভাল ব্ল্যাকহেডস বা হোয়াইটহেডস দূর করার কাজ করে। এর মধ্যে যে প্রোটিন থাকে, তা ত্বক ভাল রাখতে সাহায্য করে। বাড়িতে ব্ল্যাকহেডস তুলতে দুটো ডিমের সাদা অংশ, লেবুর রস ২ চা চামচ নিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিয়ে নাকের চারপাশে ভাল করে লাগিয়ে ওপরে একটা টিস্যু পেপার চেপে সেঁটে দিন। এবার টিস্যুর ওপর থেকে আবার ডিম আর লেবুর একটা লেয়ার দিন। উপরে আর একটা টিস্যু চেপে আটকে দিন। শুকিয়ে গেলে টিস্যু ধরে টেনে তুলে ফেলুন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.