টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: হালফ্যাশনের শাড়ির মাঝে হারিয়ে গিয়েছে বালুচরি। ভারী শাড়ির থেকে মুখ ফিরিয়েছেন বহু তন্বী। কিন্তু এ শাড়িও যে এখনও ব়্যাম্প মাতাতে পারে তাই প্রমাণিত হল বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর মেলায়। বলিউডি স্টাইলে বালুচরি শাড়ি পরে ব়্যাম্প মাতালেন শহরের নামীদামী মডেলরা।
বালুচরি, মারাঠি স্টাইলের স্বর্ণচরি, লেহেঙ্গা স্টাইলের সোনামুখী সিল্ক কতটা আকর্ষণীয় হয়ে উঠতে পারে, তারই প্রমাণ মিলল বুধবার সন্ধেয়। বাংলার নিতান্তই সাদামাটা একটি বুনন আদতে ফেলনা নয়, তা এদিনের এই ফ্যাশন শোয়ে ফের একবার প্রমাণিত হল। এই কৃতিত্বের দাবিদার বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের মহকুমা শাসক মানস মণ্ডল। তিনি বলেন, “আমাদের উদ্দেশ্য এই শোয়ের মাধ্যমে বিষ্ণুপুরের বালুচরি, স্বর্ণচরি, সোনামুখী সিল্ক এবং অলংকারে টেরাকোটা ও ডোকরাকে তুলে ধরা। গত কয়েক বছর ধরে আমরা এই কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। এতে সাফল্যও পেয়েছি আমরা।”
এদিনের বিষ্ণুপুর মেলার ফ্যাশন শোয়ে উপস্থিত শয়ে শয়ে দর্শক মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে দেখলেন ফ্যাশনের রূপকল্পে চিরপরিচিত বালুচরির ম্যাজিক। এই শোয়ের শুরুতেই ছিল চমক। আটপৌরে সাজে বালুচরি শাড়ি আর রাজারানি স্টাইলে স্বর্ণচরির চোখ ধাঁধানো কারুকার্য দেখে অবাক দর্শকরা। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে মডেলদের মাথায় বাঁধা সোনামুখী সিল্কের স্কার্ফ এবং গলায় ঝোলানো হাজারো রঙের কম্বিনেশন করা দুপাট্টা। তবে শুধু বালুচরি, স্বর্ণচরি আর সোনামুখী সিল্কের শাড়িই নয়। মডেলদের গলার হার, কানের দুল এবং হাতের অলংকারেও ছিল প্রান্তিক বাঁকুড়ার ডোকরা, টেরাকোটা শিল্পের ছোঁয়া।
পোড়ামাটির রঙিন গয়না। তার সঙ্গে নজরকাড়া আটপৌরে বালুচরি। এক্কেবারে সাবেরি সাজে রেড কার্পেট মাতান মাধবীলতা, ডিম্পির মতো তারকারা। লাল রঙের স্বর্ণচরি শাড়ি এবং ডোকরার অলংকারে সেজেছিলেন তিনি।
এছাড়াও ছিলেন অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা সরকার। তাঁর দিক থেকেও চোখ ফেরানো ছিল দুষ্কর।
ফ্যাশন শোয়ের মুখগুলির পাশাপাশি ভিন্ন মাত্রা যোগ করেন অভিলাশ রাজপুর। তিনি বলেন, “ছেলেদের ধুতি, পাঞ্জাবি, শেরওয়ানি, কুর্তার সঙ্গে কাঁধে ঝোলানো সোনামুখী সিল্কের দোপাট্টাও যে মানানসই তা এর আগে আমার জানা ছিল না। খুব ভাল অভিজ্ঞতা হল।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.