সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত কয়েক বছরে ইন্টারনেটের দুনিয়ায় আমূল পরিবর্তন ঘটেছে। সৌজন্যে টেলিকম সংস্থার সস্তার একগুচ্ছ প্ল্যান। একে অপরের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে প্রতিনিয়তই কিছু না কিছু আকর্ষণীয় ইন্টারনেট প্ল্যান বাজারে আনছে টেলিকম কোম্পানিগুলি। আর সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ইন্টারনেটের ব্যবহারও। সোশ্যাল মিডিয়া ইউজারের সংখ্যাও চোখে পড়ার মতো। তবে প্রত্যেক সোশ্যাল সাইটেরই নিজস্ব একটা পলিসি আছে। সেখানে কী পোস্ট করা যাবে না যাবে, তার একটা নিয়মবলী রয়েছে। আর সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মগুলির মধ্যে যেহেতু সবচেয়ে জনপ্রিয় ফেসবুক, তাই এক্ষেত্রে তাদের উপরও একটা বড় দায়িত্ব রয়েছে।
কী দায়িত্ব? ইউজাররা যা পোস্ট করছেন, তা যাতে সমাজে কোনওভাবে হিংসা বা সন্ত্রাস না ছড়ায়, সেটি দেখার গুরু দায়িত্বই ফেসবুকের কাঁধে। অনেক সময় অনেক রাজনৈতিক ভিডিও বা বিজ্ঞাপন ব্যবহারকারীদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। তেমনটা যাতে না হয়, সেই কারণেই নিজেদের পলিসি মেনে চলে এই সোশ্যাল মিডিয়া জায়ান্ট। যে কোনও প্রকার সাইবার আক্রমণ থেকেও সাইটকে প্রতিনিয়ত রক্ষা করার চ্যালেঞ্জ তাদের সামনে। কিন্তু কোনটি ভুল খবর, কোন পোস্টে লুকিয়ে সন্ত্রাসের উসকানি, তা ফেসবুক একা সিদ্ধান্ত নেয় না। বরং বিভিন্ন সংস্থার কাছে গোটা বিষয়টি জানতে চাওয়া হয়। তাদের প্রতিক্রিয়া জানানোর পূর্ণ স্বাধীনতাও দেওয়া হয়। নিজেদের অভিজ্ঞতা জানায় প্রত্যেকে। আর তারপরই এবিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এতে সহজেই বোঝা যায় কোন খবরটি হিংসাত্মক বা কোনটির বিশ্বাসযোগ্যতা নেই।
বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার বাড়ায় ফেসবুক মনে করছে, ভুয়ো খবর রুখতে প্রত্যেক কোম্পানিকেই বড় দায়িত্ব নিতে হবে। এটা ঠিক যে সমস্ত বিতর্কিত পোস্ট ইন্টারনেট থেকে সরিয়ে ফেলা সম্ভব নয়। কিন্তু প্রতিটি সোশ্যাল সাইট যদি নিজেদের পলিসি মেনে এগোয় তবে ভুয়ো খবর অনেকটাই আটকানো সম্ভব হবে। ফেসবুক যে স্বচ্ছতা বজায় রাখার কাজ অক্লান্তভাবে চালিয়ে যাচ্ছে, তা বেশ কয়েকটি রিপোর্ট প্রকাশ করেও জানিয়েছে তারা। কোম্পানির মতে, ভুয়ো তথ্য রোখার প্রয়োজনীয়তা একবার অনুভব করলে প্রত্যেকেই এবিষয়ে আরও মনোযোগী হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.