সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নির্বাচন কমিশন আগে থেকেই কড়া নির্দেশ দিয়ে রেখেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলিকে। যে কোনওভাবে রুখতে হবে ভুয়ো খবর। ফেক নিউজ যাতে নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে না পারে সেদিকে কড়া নজর রাখতে হবে। সেই মতো চূড়ান্ত তৎপরতা শুরু করে দিল ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। ভারতের নির্বাচনের উপর নজরদারি চালাতে নজরদারি শুরু হল ভারতের বাইরে থেকেও। ইতিমধ্যেই তিনটি দেশে আলাদা ওয়ার রুম খুলে ফেলেছে জুকারবার্গের কোম্পানি। ওয়ার রুমগুলি খোলা হয়েছে, সিঙ্গাপুর, আয়ারল্যান্ড এবং আমেরিকায়।
২০১৫, ২০১৬, এবং ২০১৮-তে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন, ব্রেক্সিট গণভোট এবং মেক্সিকোর সাধারণ নির্বাচনে সাধারণ ভোটারদের তথ্য চুরি করে নির্বাচনকে প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠেছিল। কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা নামের একটি সংস্থা ফেসবুক থেকেই ভোটারদের তথ্য চুরি করেছিল বলে অভিযোগ। ভারতের নির্বাচনের ক্ষেত্রেও তাঁর পুনরাবৃত্তির আশঙ্কা রয়েছে। তাই আগেভাগেই কড়া পদক্ষেপ করে রাখছে সংস্থাটি। ফেসবুক সূত্রের খবর, সংস্থার তিনটি ওযার রুমে কাজ করছে মোট ৪০টি দল। এছাড়া ওয়ার রুম গুলিতে আলাদা করে তথ্য সুরক্ষার জন্য রাখা হয়েছে ৩ হাজার কর্মীকে। দরকার পড়লেই এই দলের সদস্যরা সক্রিয় হয়ে উঠবেন। এছাড়া ফেক নিউজ নিয়ন্ত্রণ করার জন্যও আলাদা দল তৈরি করা হয়েছে।
আসলে, ডিজিটালাইজেশনের পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো খবর ছড়ানোর প্রবণতাও অনেক বেড়েছে। আর এই ভুয়ো খবরগুলি নির্বাচনকেও প্রভাবিত করতে পারে। লোকসভার আগে তাই ফেক নিউজ রুখতে সক্রিয় ফেসবুক। ইতিমধ্যেই কংগ্রেস এবং বিজেপির সঙ্গে সম্পর্কিত বেশ কিছু ফেসবুক পেজ বন্ধ করেছে কর্তৃপক্ষ। তবে, ভারতের ক্ষেত্রে ফেক নিউজ নিয়ন্ত্রণ করা যে খুব কঠিন তা স্বীকার করে নিচ্ছে কর্তৃপক্ষ। কারণ, ভারতের ভাষার বৈচিত্র। তবে কর্তৃপক্ষের তরফে এক কর্তার দাবি, “আগেই বুঝতে পারি ভারতের ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা ভাষায় ফেক নিউজ নিয়ন্ত্রণ করা খুব কঠিন কাজ। তাই আমরা আলাদা আলাদা ভাষার অনুবাদ যন্ত্রের পিছনে সব থেকে বেশি টাকা খরচ করেছি। কোনও পোস্টের ভুয়ো বা আপত্তিকর অংশ নিয়ন্ত্রণে আমরা আগের তুলনায় আমরা অনেক শক্তিশালী।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.