Advertisement
Advertisement

ভোটে গলাবাজি, অব্যর্থ টোটকা যষ্টিমধু ও লবঙ্গ

গলা কোনওমতে ‘ড্রাই’ করা যাবে না।

Doctors' advice to poll candidates
Published by: Sandipta Bhanja
  • Posted:March 15, 2019 4:11 pm
  • Updated:March 15, 2019 4:11 pm  

গৌতম ব্রহ্ম: গলায় শান দিচ্ছেন হবু সাংসদরা। ভোটপ্রচার মানেই তো গলাবাজি। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত জনসভা, কর্মিসভা। মাইক্রোফোন হাতে সংসদ এলাকা চষে ফেলা। তাই শুরু হয়ে গিয়েছে গলা ভাল রাখার প্রস্তুতি। কেউ ছুটছেন ইএনটি বিশেষজ্ঞর কাছে। কেউ আবার ভরসা রাখছেন আয়ুর্বেদিক টোটকায়। কেউ হোমিওপ্যাথিতে। ‘প্যাথি’ যাই হোক, একটি ব্যাপারে চিকিৎসকরা একমত। গলা ভাল রাখতে জল খেতে হবে প্রচুর। এবং বারবার।

[খাবারে পোকা থেকে বিষক্রিয়া, জেনে নিন সমস্যা থেকে মুক্তির উপায়?]

গলা কোনওমতে ‘ড্রাই’ করা যাবে না। আর অবশ্যই ঠান্ডা-গরমের ট্রাপিজের খেলা থেকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে নিজেকে। আইসক্রিম, ঠান্ডা পানীয় নৈব নৈব চ। বরং ভরসা বাড়ুক ডাবের জলে। মালদহ মেডিক্যালের ইএনটি বিভাগের অধ্যাপক ডা. অতীশ হালদারের পর্যবেক্ষণ, বক্তৃতা করার সময় রাজনৈতিক নেতারা জনগণের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য উচ্চগ্রামে কথা বলেন। এতে গলার উপর চাপ সৃষ্টি হয়। বক্তাদের স্বাভাবিক স্কেলে ভাষণ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন অতীশবাবু। পার্ক সার্কাসের ন্যাশনাল মেডিক্যালের ইএনটি বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ডা. রঞ্জন পাল জানালেন, “পৈটিক গোলযোগ হলে গলার উপর চাপ পড়ে। তাই গলা ঠিক রাখতে পেট ঠান্ডা রাখা জরুরি। অ্যাসিড হতে পারে এমন খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, প্রোটিনের পরিবর্তে এই সময় কার্বোহাইড্রেট বেশি খাওয়াই স্বাস্থ্যসম্মত। গলায় সমস্যা হলে বা স্বরভঙ্গ হলে অবশ্যই বিশ্রাম দিতে হবে গলাকে। নিতে হবে ভেপার। তবে, ঠান্ডা-গরমের থাবা থেকে যতটা সম্ভব নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। এসি গাড়ি ব্যবহার করলেও পঁচিশের আশপাশে তাপমাত্রা রাখাই ভাল। গাড়ি থেকে নামার আগে এসি বন্ধ করে বাইরের তাপমাত্রার সঙ্গে শরীরকে সইয়ে নিতে পারলে গলায় সংক্রমণের ঝুঁকি অনেকটাই কমানো যায়। গলা ভাল রাখতে অনেক নেতারই পছন্দ হোমিওপ্যাথি। ফাইটোলক্কা গোছের বেশ কিছু ওষুধ রয়েছে যেগুলি খেলে বা গারগল করলে গলা ভাল থাকে। সংক্রমণ দূর করে। গলাকে সতেজ রাখে। তবে, সব থেকে জরুরি গলাকে বিশ্রামে রাখা। অপ্রয়োজনীয় ফোন এড়িয়ে চলাই ভাল। বরং ব্যবহার বাড়ুক এসএমএস, হোয়াটসঅ্যাপের।

Advertisement

অনেকের আবার বাজার চলতি ওষুধের চেয়ে আয়ুর্বেদিক টোটকাতেই বেশি ভরসা। আয়ুর্বেদ চিকিৎসক ডা. সুমিত সুর জানালেন, দিনে তিনবার লবঙ্গ আর আদা চুষে খাওয়া যেতে পারে। দু’টি লবঙ্গ আর এক কুচি আদা। সেই সঙ্গে যদি যষ্টিমধুর পাউডার জলে ফেলে গার্গল করা যায়, তাহলে ভাল ফল মিলবে। অনেকের আবার বক্তৃতা রাখতে গিয়ে কাশি হচ্ছে। সেক্ষেত্রে গোলমরিচ আর কাবাবচিনি খাওয়া যেতে পারে।

[চোখ চুলকে লাল? নিরাময়ের উপায় বাতলালেন বিশেষজ্ঞ]

হবু সাংসদদের ঘন ঘন জলপানের পরামর্শ ডাক্তারদের-

১) ঘন ঘন জল খেতে হবে। বাড়াতে হবে পরিমাণও।

২) ঠান্ডা পানীয় বা ফ্রিজে রাখা জল বিপজ্জনক। স্বাভাবিক তাপমাত্রায় থাকা জল গ্রহণ করাই শ্রেয়। সম্ভব হলে ডাবের জল খান।

৩) উচ্চগ্রামে কথা বলা যাবে না। নিজের স্কেল বুঝে তাতেই বক্তৃতা করতে হবে। না হলে স্বরভঙ্গ হতে পারে।

৪) ফোনে কথা বলা কমিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ, এসএমএসের ব্যবহার বাড়ান। গলাকে বিশ্রাম দিন।

৫) রাতে বাড়ি ফিরে ভেপার নিতে পারলে ভাল। মুখ দিয়ে নিয়ে নাক দিয়ে ছাড়া।

৬) ফাইটোলক্কা প্রজাতির হোমিওপ্যাথি ওষুধ গলা ভাল রাখতে খুব কার্যকর।

৭) লবঙ্গ আর আদা দিনে তিনবার খাওয়া যেতে পারে। যষ্টিমধুর গুড়ো জলে মিশিয়ে গার্গল করুন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement