সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘দিলওয়ালে দুলহনিয়া লে জায়েঙ্গে’ দেখেছেন নিশ্চয়ই৷ কখনও শাহরুখ-কাজলের রোম্যান্টিক দৃশ্যে কেঁদে ফেলেছেন? ‘বেলাশেষে’র কাহিনি দেখে আবেগে ভেসে গাল বেয়ে পড়েছে নোনা জল? উত্তর যদি হ্যাঁ হয় তাহলে এর জন্য কম ঝামেলা পোহাতে হয়নি বোধহয় আপনাকে৷ আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবদের সামনে বেশ কয়েক অপ্রস্তুত হতে হয়েছে৷ বেশ কয়েকবার হাসির রোল উঠেছে আপনার আবেগের এই অযাচিত বহিঃপ্রকাশ নিয়ে৷
পরকীয়ায় মজেছেন? তবে এই বিষয়গুলি কিন্তু জানতেই হবে
গুণি-জ্ঞনি ব্যক্তিরা বলে গিয়েছেন, ‘কুছ তো লোগ কহেঙ্গে…’৷ তাই নিজের আবেগের বহিঃপ্রকাশ নিয়ে অতটা বিব্রত হবেন না৷ বরং এটি খুশির বিষয়৷ পল জে. জাক নামে এক বিজ্ঞানী অন্তত এমনটাই বলছেন৷ তাঁর কথায়, যে ব্যক্তিদের মধ্যে সিনেমা দেখার সময় হাসি-কান্নার মত আবেগের বহিঃপ্রকাশ দেখা যায়৷ তাঁরা অনেক বেশি শক্ত মানসিকতার মানুষ হন৷ আর যাঁরা ভাবলেশহীনভাবে সিনেমা দেখেন তাঁরা মানসিকভাবে অপেক্ষাকৃত দুর্বল প্রকৃতির হয়ে থাকেন৷ কারণ নিজেদের আবেগ তাঁরা প্রকাশ্যে আনতে চান না৷
নোকিয়ার পর বাজারে প্রত্যাবর্তন হচ্ছে ব্ল্যাকবেরিরও
সাইকোলজি টুডে নামে এক প্রতিবেদনে জাক লিখেছেন, সিনেমা-নাটকের মতো বিনোদনমূলক কিছু দেখলে মানুষের শরীরে অক্সিটোসিন লেভেল বেড়ে যায়৷ এর ফলে মানুষের আবেগ-অনুভূতিগুলি অনেক বেশি সক্রিয় হয়ে যায়৷ হাসির কোনও সিনেমা দেখলে তা শেষ হয়ে গেলেও মানুষের ঠোঁটের কোনে যেমন হাসি থেকে যায়, তেমনি দুঃখের সিনেমা মানুষের জীবনের না পাওয়ার বেদনাগুলিকে বেশি করে জাগিয়ে দেয়৷ আর যাঁরা বাইরে মুক্ত মনে এই আবেগগুলির বহিঃপ্রকাশ করতে পারেন৷ তাঁরা প্রকৃত পক্ষে ভাল মনের অধিকারী হন এবং ভাল থাকেন৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.