Advertisement
Advertisement

Breaking News

৪৫-এর পর অনিয়মিত মিলন? এই উপায়েই রঙিন রাখুন দাম্পত্য

টিপস দিলেন বিখ্যাত লেখক গ্রেগ বেহরেন্ড ও তাঁর স্ত্রী আমিরা।

Be happy as couple in your 40s
Published by: Sulaya Singha
  • Posted:November 24, 2018 8:35 pm
  • Updated:November 24, 2018 8:35 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিজ্ঞান বলে বিপরীত মেরু নাকি পরস্পরকে আকর্ষণ করে। কিন্তু এই নিয়ম মেনে যাঁরা দাম্পত্য জীবন শুরু করেছেন তাঁরা সত্যিটা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন। তবে মজার বিষয় হল, অধিকাংশ দম্পতির মধ্যেই বিপরীতধর্মী স্বভাব দেখা যায়। যেমন একজন সব কাজে নিপুণ হলে অন্যজন এলোমেলো অগোছালো। এই বিবাদ বিবাহবিচ্ছেদ পর্যন্তও গড়ায়। শুধু তাই নয়, ব্যস্ত জীবনে অনিয়মিত যৌনতা অধিকাংশ দাম্পত্যেরই সমস্যা। তাই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে একবার দূরত্ব সৃষ্টি হলে তা আর মিটছে না বলেই জানাচ্ছেন মনোবিদরা। ৪৫ বছর বয়সের পর ঝিমিয়ে পড়া দাম্পত্যকে চাঙ্গা করতে টিপস দিলেন বিখ্যাত লেখক গ্রেগ বেহরেন্ড ও তাঁর স্ত্রী আমিরা।

হারানো জিনিস খুঁজবেন না:
অধিকাংশ ক্ষেত্রেই স্বামীরা ভুলোমনা হন। কর্মক্ষেত্রের চাপ বা সৃজনশীলতার সঙ্গে সাংসারিক টুকিটাকি কাজের ব্যালান্স করতে পারেন না। যার ফলে চাবি, চশমা, ঘড়ি, কলম, মোবাইলের মতো দরকারি সামগ্রী প্রায়ই হারিয়ে ফেলেন। যা খুঁজে দেওয়ার জন্য ডাক পড়ে স্ত্রীর। ঘরে-বাইরের দায়িত্ব সামলানোর পর বাড়তি এই কাজে স্বাভাবিকভাবেই স্ত্রীর মেজাজ সপ্তমে চড়ে। তাই খণ্ডযুদ্ধও বেঁধে যায়। লেখক-পত্নীর পরামর্শ, স্বামী অথবা স্ত্রী যেই ভুলোমনা হোন না কেন অন্যজনকে যে কোনও একটা পন্থা বাছতে হবে। হয়, মাথা ঠান্ডা রেখে হারিয়ে ফেলা সামগ্রী খুঁজুন, অন্যথায় বিষয়টি এড়িয়ে যান। নিত্যদিনের এই রুটিনে মাথা ঠান্ডা রাখা সম্ভব না হলে অশান্তি করার বদলে খোঁজাখুঁজির পাট তুলে দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন তিনি।

Advertisement

[সম্পর্ক ভাঙছে? শেষ হওয়ার আগে এভাবে একবার চেষ্টা করে দেখতে পারেন]

অনিয়মিত মানেই অসুখী নয়:
বিয়ের পর কয়েক বছর ঘুরতে না ঘুরতেই সন্তান, সাংসারিক কাজ, পারিবারিক দায়িত্ব, কর্মক্ষেত্রের চাপে স্বামী-স্ত্রীর ‘কমন’ সময় প্রায় থাকেই না। ফলে দাম্পত্যে যৌনতা তলানিতে এসে ঠেকে। দু’জনে একইরকম ব্যস্ত হলে তেমন সমস্যা হয় না। কিন্তু যদি একজন নতুন করে সম্পর্কের রসায়ন সৃষ্টিতে শারীরিক সম্পর্ক করতে চান, সমস্যার শুরু তখনই। সমাজের অসংখ্য দম্পতির মধ্যে একমাত্র নিজেকেই অসুখী ও ব্যর্থ বলে মনে হয়। যা বিচ্ছেদের প্রধান কারণ। এই পরিস্থিতিতে মনে রাখুন, শুধু আপনি বা আপনারা নন। প্রতি একশোজন দম্পতির মধ্যে অন্তত ৯০ জনেরই নিয়মিত শারীরিক সম্পর্ক অনুপস্থিত। তাই নিজেকে ব্যর্থ ভাবার কারণ নেই।

গোছাতে যাবেন না:
সম্পর্কের শুরুতে ভালবাসার মানুষের জীবন গুছিয়ে দিতে কোনও কাজই ‘বোরিং’ মনে হয় না। তাই নিজে হাতে তাঁর জামা-কাপড় কেচে, মেলে, ফের গুছিয়ে রাখতে ভালই লাগে। কিন্তু দিনের পর দিন এই নিয়ম চলার পর যখন দেখবেন উলটো দিকের মানুষটা কিছুই করছেন না তখন আপনার ভাল লাগার কাজও অসম্মানের মনে হবে। তার চেয়ে এই অভ্যাস শুরু না করার পরামর্শ দিচ্ছেন লেখক দম্পতি। তাতে দাম্পত্যে নতুন করে সমস্যার সৃষ্টি হবে না।

[পিঁয়াজেই লুকিয়ে রতিসুখের চাবিকাঠি, জানতেন কি?]

বিশেষ মুহূর্তকে গুরুত্ব দিন:
বিবাহ বার্ষিকী, প্রেম নিবেদন বা জন্মদিন যা সম্পর্কের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, তেমন মুহূর্তকে বিশেষ মর্যাদা দিন। শত ব্যস্ততার মধ্যেও নিজেদের মতো করে পালন করুন। দাম্পত্যের নিত্যনৈমিত্তিক তিক্ততার মধ্যেও সম্পর্কের মাধুর্য খুঁজে পাবেন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement