সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অ্যাজমা রোগীরা সাবধান হোন! করোনার সংক্রমণ কাঁদাতে পারে আপনাদের। এই মারণ ভাইরাস আঘাত হানছে ফুসফুসে। তাই বিশিষ্ট পালমোনলজিস্ট ডাক্তার ধীমান গঙ্গোপাধ্যায় ও ডাঃ রাজা ধরের পরামর্শ থাকল আপনাদের জন্য।
করোনা সংক্রমণ হলে কী হবে? করোনার জেরে শরীরের কোন অঙ্গ সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবে সেই নিয়ে প্রশ্ন অনেকের। মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে আতঙ্কটাও তীব্র হতে শুরু করে। সোমবার কলকাতায় প্রথম করোনা আক্রান্তের মৃত্যুর পর ভয় আরও জাঁকিয়ে বসে রাজ্যবাসীর মনে। স্টেজ-৩ এ করোনার দাপট বাড়বে আরও ফলে কী করলে বাঁচা যাবে এর করাল গ্রাস থেকে তা জানাচ্ছেন বিশিষ্ট চিকিৎসকরা। ফুসফুস বা শ্বাসনালিতে যে কোনও সংক্রমণ হওয়ার আগেই তা প্রথমে বাসা বাধে শ্বাসনালির উপরেরে অংশে। এতে গলা ব্যথা, কাশি হতে পারে। প্রচুর মিউকাস বেরোতে পারে, বসে যেতে পারে গলার স্বর। তবে ফুসফুস অবধি পৌছে গেলেই তা প্রাণঘাতী হয়ে ওঠে। সংক্রমণ ফুসফুসে পৌছে গেলে তখনই রোগীর শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। সমস্যা দেখা দেয় শরীরে রক্ত সঞ্চালনে। তাই ভেন্টলেশনে রেখে রোগীর শরীরে তখন অক্সিজেন দিয়ে ভারসাম্য রক্ষার চেষ্টা চালান চিকিৎসকরা। এতে অনেক সময় নিউমোনিয়া হওয়ার ও সম্ভাবনা থেকে যায়। করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি প্রথমে জ্বর, সর্দি, কাশিতে ভোগেন। ২-৩ দিন পর শুরু হয় শ্বাসকষ্ট। তবে এই রোগে কমবয়সিদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে কমই। তবে কারোর মধ্যে যদি অ্যাজমা, সিওপিডি আগেই থেকে থাকে তার আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে বেশি। তাই শরীরে সমস্যা দেখা দ্রুত চিকিৎসা করাবেন। তাই যাদের বাড়িতে বয়স্ক রোগীরা থাকেন তাদের রক্ষার্থে অবশ্য পুরো ঘরবন্দি থাকতে পরামর্শ চিকিৎসকের। তাদের জন্য সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা একদম সঠিক।
ডায়াবেটিস বা হার্টের রোগীদের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ, নিজেদের প্রয়োজনীয় ওষুধগুলি খেয়ে যেতে হবে। এমনকি রোগীদের শরীরে কতরোনা পৌছলে দ্রুত বিকল করে দিতে পারে আক্রান্তের শরীর। ফলে চিকিৎসকরা কিছুই করে উঠতে পারবেন না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.