Advertisement
Advertisement

সিজন চেঞ্জের সময় হাঁপানি? এখনই সতর্ক হোন!

শ্বাসকষ্ট হলে তা ফেলে না রেখে দ্রুত চিকিৎসা শুরু করুন!

Asthma Symptoms, Diagnosis, Management And Treatment
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:October 3, 2016 4:19 pm
  • Updated:October 3, 2016 4:19 pm  

মৌশাখী বোস: হাঁপানির জন্য পরিবেশ দূষণ, প্যাসিভ স্মোকিং পরোক্ষভাবে দায়ী৷ বছর কয়েক আগেও এর গতে বাঁধা চিকিৎসা ছিল৷ কিন্তু বর্তমানে অনেক নতুন ধরনের ওষুধ আসায় অ্যাজমার মোকাবিলা করা অনেক সহজ৷

অ্যাজমা কী?
অ্যাজমা বা হাঁপানি হল মূলত শ্বাসনালির অসুখ৷ মানবদেহের শ্বাসনালির মোট তিনটি অংশ– ব্রঙ্কাস, ব্রঙ্কিওল এবং টার্মিনাল ব্রঙ্কিওল৷ বিভিন্ন প্রকার উত্তেজনায় উদ্দীপিত হয়ে শ্বাসনালি অতি মাত্রায় সংবেদনশীল হয়ে পড়ে এবং এর মধ্যে সর্দি জমে তা ব্লক হয়ে যায়৷ তখন নিশ্বাসের সমস্যা দেখা যায়, যা চিকিৎসার পরিভাষায় অ্যাজমা নামে পরিচিত৷

Advertisement

কারণ:
এর পিছনে মূলত দু’প্রকার কারণ থাকে–
অ্যালার্জিক ট্রিগার- ধুলো, পশু-পাখির লোম, তুলো, নির্দিষ্ট খাবার, আরশোলা, পরাগ রেণু প্রভৃতি যখন কারণ৷
নন অ্যালার্জিক ট্রিগার– ঠান্ডা লাগা, প্যাসিভ স্মোকিং (পরোক্ষ ধূমপান), ঋতু পরিবর্তন, দুশ্চিন্তা, সংক্রমণ৷

উপসর্গ:
ঘুসঘুসে কাশি (রাতে বেশি করে)
শ্বাসকষ্ট
গলায় চুলকানি
নাক দিয়ে জল পড়া
চোখ চুলকানো
ঘন ঘন ঠান্ডা লাগা৷ (বিশেষ করে বর্ষা ও শীতকালে)

এছাড়া বড়দের ক্ষেত্রে–
পা ফোলা
হলুদ বা সবুজ সর্দি
অল্প পরিশ্রমে হাঁপিয়ে যাওয়া
সারা বছর একনাগাড়ে ঠান্ডা লেগে থাকা

শনাক্ত করতে টেস্ট:
চেস্ট এক্স-রে, অ্যালার্জি টেস্ট, পালমোনারি ফাংশন টেস্ট, প্রয়োজনে স্পুটাম বা থুথু পরীক্ষা৷

চিকিৎসা:
অ্যাজমার আদর্শ চিকিৎসা হল স্টেরয়েড।
শ্বাসনালির প্রদাহ বন্ধ করার জন্য মূলত অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটিভ মেডিসিন নেওয়া হয়৷
সাধারণত অ্যাজমা রোগীদের অ্যান্টিবায়োটিক কিংবা কাফ সিরাপ দেওয়া হয় না, কারণ এতে সর্দি বুকে জমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে৷ এছাড়া নিউমোনিয়াও হতে পারে৷ তাই ইনহেলার দিয়েই মূলত এর চিকিৎসা করা হয়৷

ইনহেলারের রকমফের:
প্রিভেনটর ইনহেলার: শ্বাসনালির প্রদাহ এবং অ্যাজমা অ্যাটাক প্রতিরোধের উদ্দেশ্যে এই প্রকার ইনহেলার ব্যবহার করা হয়৷
রিলিভার ইনহেলার: অ্যাজমার যখন তীব্র অ্যাটাক আসে তখন এই প্রকার ইনহেলার দেওয়া হয়৷ প্রিভেনটর ইনহেলার যদি সঠিক নিয়মে ব্যবহার করা হয় তাহলে রিলিভার ইনহেলারের সাধারণত প্রয়োজন পড়ে না৷

ইনহেলার আদর্শ কেন?
ইনহেলারে যে স্টেরয়েড ওষুধ থাকে তা সরাসরি ফুসফুসে পৌঁছয়৷ ফলে দেহের অন্যান্য অংশে প্রভাব বিস্তার করতে পারে না৷ অথচ ওরাল মেডিসিন রক্তের মাধ্যমে সারা দেহে ছড়ায় যার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ইনহেলারের তুলনায় অনেক বেশি৷ এক্ষেত্রে যে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলি দেখা যায়–
বুক ধড়ফড় করা
উচ্চ রক্তচাপ
হাত-পা কাঁপা
হাইপার অ্যাকটিভিটি
হার্ট রেট বৃ‌দ্ধি পাওয়া

চিকিৎসার অগ্রগতি:
আগে অ্যাজমার চিকিৎসায় LABA, ICS এবং LAMA জাতীয় স্টেরয়েড ও ব্রঙ্কোডায়লেটর ব্যবহার করা হত৷ কিন্তু এখন Montelukast, Roflumilast এবং Seratrodast জাতীয় ওষুধ চলে আসায় চিকিৎসার মান অনেক উন্নত হয়েছে৷

সতর্কতা:
বংশে অ্যাজমার ইতিহাস থাকলে ধূমপান একেবারে বন্ধ করতে হবে।
বয়স্কদের ইনফ্লুয়েঞ্জা ভ্যাকসিন দেওয়া উচিত।
অ্যালার্জিক ও নন-অ্যালার্জিক ট্রিগারগুলি এড়িয়ে চলতে হবে।
নিয়মিত শরীরচর্চা করা দরকার।
ইনহেলার নেওয়ার সঠিক নিয়ম চিকিৎসকের কাছে জেনে নেওয়া।
ইনহেলার নেওয়ার পর মুখ ভাল করে কুলকুচি করা।
কোনও প্রকার শ্বাসকষ্ট হলে তা ফেলে না রেখে দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা৷

আরও জানতে পিয়ারলেস হসপিটালের সিনিয়র কনসালট্যান্ট রেসপিরেটরি মেডিসিন ও অ্যালার্জি স্পেশালিস্ট ডা. সঞ্জয় গুপ্তকে ফোন করুন এই নম্বরে- 9038755407। এছাড়া ক্লিক করে দেখে নিন epaper.sangbadpratidin.in

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement