ভোট মানে কি শুধু-ই যুদ্ধ? তর্ক-বিতর্ক আর রণকৌশল? বিষয়টা যদি হত একটু অন্য রকমের। ছোট থেকেই ভোট নিয়ে আপনার ধারণাটা বেশ গুরুগম্ভীর। কিন্তু এই গাম্ভীর্যের মধ্যেও একটু অন্যভাবে ভাবতে পারেন আপনিও। বিষয়টা একটু পরিষ্কার করে বলি। এতদিন আমরা মজে ছিলাম পুজো, দোল, নববর্ষের ফ্যাশনে। কিন্তু কখনও কি ভেবেছি যে, ভোটেরও ফ্যাশন হতে পারে। এই বিষয়ই কথা বললেন বিখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার অগ্নিমিত্রা পল এবং শর্বরী দত্ত। শুনলেন শ্রাবণ দে।
অগ্নিমিত্রা পল
প্রশ্ন: গরম পড়ে গিয়েছে, সঙ্গে বেজে গিয়েছে ভোটের দামামা। প্রচারে ঠিক কী রঙের পোশাক পরা উচিত?
উত্তর: অবশ্যই হালকা রঙের (সাদা, অফ ওয়াইট,) সুতির পোশাক পরা দরকার। তাতে এই গরমে কষ্টটা খানিকটা নিবারণ তো হবেই। এছাড়াও, লিনেন জাতীয় জিনিসও ভালই লাগবে।
প্রশ্ন: এখন তো ইন্ডাস্ট্রির অনেকেই যোগ দিচ্ছেন রাজনীতিতে। তাঁদের ক্ষেত্রে ঠিক কোনরকম পোশাক পরলে গ্রহণযোগ্য হবে?
উত্তর: এক্ষেত্রে সালোয়ার কামিজ, শাড়ি, দুটোই খুবই প্রযোজ্য। কিন্তু যদি কেউ মনে করেন একটু অন্যরকম কিছু ট্রাই করবেন, তবে ধুতি, প্যান্ট, সঙ্গে হালকা রঙের শর্ট টপও ট্রাই করতেই পারেন। (তবে বেশি জমকালো পোশাক না পরাই ভাল)
প্রশ্ন: এইটা তো গেল ফিমেল ফ্যাশনের কথা, পুরুষ প্রার্থীদের জন্য কী বলবেন?
উত্তর: সেক্ষেত্রেও একই কথা বলব সুতির হালকা কিছু পরাই ভাল। তবে সব দলেরই নিজস্ব রং আছে। সেক্ষেত্রে যদি সেই রং নির্বাচন করে জিন্সের সঙ্গে সেই রঙের কিছু পরেন তাহলেও মন্দ হয় না।
প্রশ্ন: পুজো ফ্যাশন, দোলের ফ্যাশন তো আমরা হামেশাই দেখি। কিন্তু এর পর কি আমরা ভোটের ফ্যাশন বলে কিছু দেখতে পাব? এ ব্যাপারে কি কিছু ভাবনা-চিন্তা আছে?
উত্তর: তেমন কোনও ভাবনাচিন্তা নেই, কারণ ভোট বিষয়টা খুব অল্পদিনের, আর তার জন্য নতুন কিছু তৈরি করলে সেটা বিক্রি করা মুশকিল। তবে যদি প্রার্থীরা প্রচারে নতুন ধরনের কিছু পরেন তবে তাদের দেখে আমরা ইনস্পায়ার হতে পারি। তাদের দেখে আমরা তেমন কিছু বানাতে পারি। (হাসি)
[ দোলে রং মাখুন আনন্দে, তবে এই বিষয়গুলো অবশ্যই মাথায় রাখবেন ]
শর্বরী দত্ত
প্রশ্ন: গরম পড়ে গিয়েছে, এর মধ্যেই শুরু হয়েছে ভোটের প্রচার। এইসময় কী ধরনের পোশাক বাছা উচিত?
উত্তর: আমি মনে করি এখন নিজেদের ফ্যাশন নিয়ে সকলেই খুবই সচেতন। এবং নিজেরাই নিজেদের পছন্দ বেছে নিতে পারেন। তাই তাদের সাজেস্ট করার দরকার হয় না। তবে এইটুকু বলব যে, গরমে প্রচারের জন্য হালকা ফেব্রিক নির্বাচনই ভাল। অবশ্যই ভাল হবে যদি সেটা সুতির হয়। এখন বিভিন্ন ক্ষেত্র থেকে রাজনীতিতে আসছেন। যেমন যারা গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ড থেকে আসছেন তাদের যে গ্ল্যামারের এলিমেন্ট সেটার জন্য জনতার কাছে একটা আকর্ষণ থেকেই যায়। তারা তো যেমন-তেমন করে বেরোবেন না। সুতরাং হালকা মেক-আপ করবেন এবং হালকা রঙের রুচিসম্মত পোশাক নির্বাচন করাই শ্রেয়। একটু থেমে, তবে এখন তাদের এক নতুন ভূমিকায় অবতরণ। সে ক্ষেত্রে যদি দেশীয় পোশাক নির্বাচন করেন সেটাই ভাল হবে। তখন ফাটা জিন্স বা জ্যাকেট জাতীয় কিছু পরা ঠিক হবে না। ভোটের সঙ্গে জড়িয়ে থাকে দেশমাতৃকার বিষয়। জনহিতকর কাজ করতে যাচ্ছেন যাঁরা, তাঁদের ক্ষেত্রে ওয়েস্টার্ন পোশাক নির্বাচন না করাই ভাল।
প্রশ্ন: আমরা রাজনৈতিক ক্ষেত্রে সবসময় সাদা রং নির্বাচন করতে দেখি, এইটার কারণ কী?
উত্তর: সাদা রং বেছে নেওয়া হয় একটা সঙ্গত কারণেই। কারণ সব দলেরই নির্দিষ্ট রং আছে। তাই যুক্তিযুক্ত কারণেই তারা সাদা রং বেছে নিচ্ছেন।
প্রশ্ন: পুজো ফ্যাশন, দোলের ফ্যাশন তো আমরা হামেশাই দেখি। কিন্তু এরপর কি আমরা ভোটের ফ্যাশন বলে কিছু দেখতে পাব? এ ব্যাপারে কী ভাবছেন।
উত্তর: এগুলি সাংবাদিকদের আরোপিত একটা বিষয়। আলাদা করে পুজোর ফ্যাশন বলে কিছুই হয় না। ডিজাইনাররা সারা বছর কাজ করছেন। যেমন পুজোর উপন্যাস বলেও কিছুই হয় না। হয়তো ঔপন্যাসিক কোনও এক বর্ষায় লেখা শুরু করেছিলেন। বিপণনের কারণে ইন্টারেস্টিং করতে এইসব করা হয়। তবে বিষয়টা ভালই, মন্দ নয়।
[ ঘরোয়া উপায়ে স্ক্রাবিং, ময়শ্চারাইজিংয়ে ঋতু বদলের মরশুমে নাকের যত্ন নিন ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.