Advertisement
Advertisement

Breaking News

নির্বাচন চলাকালীন বালোচিস্তানে ফিদায়েঁ হামলা, মৃত অন্তত ২৫

গণতন্ত্রের লড়াইয়ে বাধা জঙ্গিদের৷

Blast hits booth in Balochistan, over 25 killed
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:July 25, 2018 1:24 pm
  • Updated:July 25, 2018 1:41 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গণতন্ত্রের লড়াইয়ে বাধা জঙ্গিদের৷ গণতান্ত্রিক অধিকার নয়, চাই শরিয়ত শৃঙ্খল৷ এমিনটাই দাবি জেহাদিদের৷ এর অন্যথায় ফল ভাল হবে না৷ হুমকি দিয়েছিল তালিবান, আল কায়দা- সহ একাধিক ইসলামিক জঙ্গি সংগঠন৷ ভোট দিতে এসে ফল পেতে হল বালোচ জনতাকে৷ বুধবার বিস্ফোরণে কেঁপে উঠে বালোচিস্তানের রাজধানী কোয়েটা৷ নিহত অন্তত ২৫৷ আহত বহু৷ ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছে নিরাপত্তাবাহিনী৷

[কড়া নিরাপত্তায় শুরু পাকিস্তানের ভোটগ্রহণ, মসনদ কি পাবেন ইমরান?]

Advertisement

পাক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, কোয়েটার একটি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে আত্মঘাতী হামলা চালায় জঙ্গিরা৷ এদিন ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে ঢোকার চেষ্টা চালায় জঙ্গিটি৷ সন্দেহ হওয়ায় তাকে আটকান মোতায়েন থাকা নিরাপত্তারক্ষীরা৷ উদ্দেশ্য ভেস্তে যেতে দেখে সেখানেই আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটায় জঙ্গিটি৷ প্রচণ্ড ধামাকায় ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় অনেকেই৷ চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে মানুষের রক্ত ও মাংস৷ ডিআইজি আবদুল রজ্জাক চিমা জানিয়েছেন, আহতদের সান্দেমান প্রাদেশিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷ ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালাচ্ছে বম্ব স্কোয়াড৷ উদ্ধার করা হয়েছে একটি গ্রেনেড-সহ বেশ কিছু বিস্ফোরক৷ ভোটারদের নিশান করতেই এসেছিল জঙ্গিটি৷ ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে প্রবেশ করতে সক্ষম হলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারত৷ আহতদের মধ্যে অনেকেরই অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে৷

উল্লেখ্য, ১১তম নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে মঙ্গলবার থেকেই আফগানিস্তান সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন৷ এদিন সকাল ৮টা থেকে শুরু হয় ভোটগ্রহণ৷ জঙ্গিদের হুঁশিয়ারিতে কর্ণপাত না করে ভোট দিতে এগিয়ে এসেছে জনতা৷ চলতি মাসের শুরুতেই মাস্তুং শহরে একটি নির্বাচনী ব়্যালিতে আত্মঘাতী হামলা চালায় ইসলামিক স্টেট জঙ্গিরা৷ ওই হামলায় মৃত্যু হয় ১৪৯ জন নিরীহ মানুষের৷ ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের নিরাপত্তা দেশজুড়ে প্রায় ৩ লক্ষ ৭০ হাজার সেনা মোতায়েন করেছে পাকিস্তান৷ ভোট হচ্ছে তদারকি সরকারের তত্ত্বাবধানে। তদারকি সরকারের প্রধানমন্ত্রী নাসিরুল মুল্ক। কিন্তু সবাই জানেন নাসিরুল মুল্ক আনুষ্ঠানিক প্রধান মাত্র। গোটা নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ ও দেখভাল করছে পাকিস্তানের আদি অনন্তকালের অভিভাবক সেনাবাহিনী। কয়েকটি রাজনৈতিক দলের দাবি, সংসদীয় গণতন্ত্রের ভাগ্য নিয়ন্তা রাওয়ালপিন্ডির কর্তারাই। তাঁরাই শেষ পর্যন্ত ঠিক করবেন কে হবেন ওয়াজির-এ-আজম (পাক প্রধানমন্ত্রী)।   

[মোদি হটাতে নয়া পন্থা, মমতা প্রধানমন্ত্রী হলে আপত্তি নেই রাহুলের]                                             

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement