সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লোকাল ট্রেনে উঠেও মোবাইলে কথা বলার বিরাম নেই। দমদম স্টেশনের কাছে চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে মারা গেলেন এক যুবক। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, দুর্ঘটনার আগেও ফোনে কথা বলছিলেন ওই যুবক। অন্যমনষ্ক হয়েই ট্রেন থেকে পড়ে গিয়েছেন তিনি। ঘটনার তদন্তে নেমেছে জিআরপি।
[ শহরের রাজপথে আতঙ্ক, কৈখালিতে চলন্ত বাসে আগুন]
এখন সকলের হাতেই স্মার্টফোন। কথা বলাই তো শুধু নয়, ছবি কিংবা ভিডিও তোলা, হোয়াটসঅ্যাপ-ফেসবুক স্মার্টফোন কি না করা যায়! তাই বাড়িই হোক কিংবা রাস্তা, সবসময়ে মোবাইলে স্ক্রিনেই নজর থাকে যুবক-যুবতীদের। অনেকে আবার মোবাইল কথা বলতে বলতেই অবলীলায় পেরিয়ে যান রাস্তা, এমনকী রেললাইনও। আকছারই দুর্ঘটনাও ঘটে। রবিবার যেমন ঘটল দমদমে। স্টেশনের কাছে চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে বেঘোরে মারা গেলেন এক যুবক। শিয়ালদহগামী কৃষ্ণনগর লোকাল চেপে সরকারি চাকরি পরীক্ষা দিতে যাচ্ছিলেন নিত্যানন্দ দাস। বেলঘরিয়া স্টেশন থেকে ট্রেনে উঠেছিলেন তিনি। শিয়ালদহ থেকে বিভিন্ন রুটে লোকাল ট্রেন চলে। ছুটির দিনে ট্রেনে বাদুড়ঝোলা ভিড় ছিল না ঠিকই। তবে ট্রেন একেবারে খালিও ছিল না। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ট্রেনে ওঠা ইস্তক মোবাইল ফোন কথা বলে যাচ্ছিলেন নিত্যানন্দ। ট্রেন যখন দমদম স্টেশনে কাছাকাছি পৌঁছায়, তখন আচমকাই চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে যান তিনি। ঘটনাস্থলেই মারা যান নিত্যানন্দ দাস।
কিন্তু, কীভাবে ট্রেন থেকে পড়ে গেলেন ওই যুবক? সহযাত্রীদের বক্তব্য, দুর্ঘটনার কিছুক্ষণ আগেও ফোন কথা বলছিলেন নিত্যানন্দ। কথা কথা বলতে সম্ভবত অন্যমনষ্ক হয়ে পড়েছিলেন। আর তাতেই ঘটল এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে দমদম জিআরপি। শুরু হয়েছে তদন্ত। মৃত নিত্যানন্দ দাসের বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরে।
[‘সুজয়দা-পুঁচকি’র প্রেমকাহিনি দিয়েই সচেতনতার পাঠ কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.