Advertisement
Advertisement

Breaking News

আইএএস অফিসার সেজে বিয়ের নিমন্ত্রণ করতে থানায় হাজির যুবক! তারপর…

শিক্ষামন্ত্রীর আপ্ত সহায়ক পরিচয়ে পুলিশকে ফোনও করেছিল সে!

Youth arrested for fraud
Published by: Tanumoy Ghosal
  • Posted:November 28, 2018 8:29 pm
  • Updated:November 28, 2018 8:29 pm  

সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায় ও অর্ণব আইচ: প্রথমে শিক্ষামন্ত্রীর আপ্ত সহায়ক পরিচয়ে ফোন, তারপর আইএএস অফিসার সেজে সটান হাজির থানায়! কিন্তু, শেষরক্ষা হল না। ধরা পড়ে গেল প্রতারক। তদন্তে নেমেছে হরিদেবপুর থানার পুলিশ।

[ক্যাম্পাসে পড়ুয়াদের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ, ফের উত্তেজনা বেহালা কলেজে]

Advertisement

ঘটনাটি ঠিক কী? দিন কয়েক আগে দক্ষিণ শহরতলির হরিদেবপুর থানায় ফোন করে এক যুবক। নিজেকে ‘শিক্ষামন্ত্রীর আপ্ত সহায়ক অমিত রায়’ বলে পরিচয় দেয় সে। থানার ওসি-কে বলে, হরিদেবপুর থানা এলাকায় এক আইএএস অফিসার বিয়ে করছেন। বিয়েতে আমন্ত্রিত মন্ত্রী, আমলা-সহ ভিআইপিরা। পুলিশ যেন তাঁদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে। শিক্ষামন্ত্রীর আপ্ত সহায়কের ফোন পেয়ে হরিদেবপুর থানার পুলিশের তৎপরতা বাড়ে। আইইএস অফিসারের দেখা করে বিয়ের নিরাপত্তা বিষয়টি চূড়ান্ত করে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন থানার ওসি। কিন্তু, তাঁকে আর যেতে হয়নি, দিন কয়েক বাদে সেই আইএএস অফিসার শুভ্রজ্যোতি সরকার নিজেই হাজির হয় হরিদেবপুর থানায়। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, প্রথমে থানার সমস্ত পুলিশকর্মীকে রীতিমতো করজোড়ে বিয়ের অনুষ্ঠানে হাজির থাকার আমন্ত্রণ জানায় ওই যুবক। কথা কথায় জানা যায়,  ২০১৬ সালে আইএএস অফিসার হয়েছে সে। কিন্তু তার কথাবার্তায় সন্দেহ হয় হরিদেবপুর থানার পুলিশ আধিকারিকদের। খোঁজ খবর নিতে শুরু করেন তাঁরা।

হরিদেবপুর থানার পুলিশের দাবি, খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়, শিক্ষামন্ত্রীর আপ্ত সহায়কের নাম অমিত রায় নয় এবং ২০১৬ ব্যাচের শুভ্রজ্যোতি সরকার নামে কোনও আইএএস অফিসারও নেই। এরপর যে যুবক নিজেকে আইএএস অফিসার বলে পরিচয় দিয়েছিল, তাকে হরিদেবপুর থানায় ডেকে পাঠায় পুলিশ। ওই যুবকের সামনেই ফোন করা হয় ‘শিক্ষামন্ত্রীর আপ্ত সহায়ক অমিত রায়’-কেও। কিন্তু, তাকে আর ফোনে পাওয়া যায়নি। এদিকে যাকে থানায় ডেকে পাঠানো হয়েছিল, তার কাছ থেকে একাধিক মোবাইল উদ্ধার করে পুলিশ। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, দ্বিতীয়বার যখন শিক্ষামন্ত্রীর আপ্ত সহায়ককে ফোন করা হয়, তখন উদ্ধার হওয়া একটি মোবাইল বেজে ওঠে। প্রতারণার অভিযোগে ওই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে হরিদেবপুর থানার পুলিশ। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, অন্য কেউ নয়, ওই যুবকই শিক্ষামন্ত্রীর আপ্ত সহায়ক পরিচয় দিয়ে পুলিশকে ফোন করেছিল, আবার আইএএস অফিসার সেজে থানায়ও এসেছিল। তার কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে বেশ কয়েকটি জাল সরকারি নথি ও কার্ড। কিন্তু, কেন এমন কাণ্ড ঘটাল অভিযুক্ত? তদন্তে হরিদেবপুর থানার পুলিশ।

[ গাড়ির বকেয়া জরিমানায় ৬৫ শতাংশ ছাড় ঘোষণা ট্রাফিক পুলিশের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement