অর্ণব আইচ: গাড়ির দরজার গোপন কুঠুরিতে সাড়ে তিন কোটি টাকার নিষিদ্ধ মাদক ইয়াবা। মণিপুর থেকে এই মাদক নিয়ে আসা হয়েছিল কলকাতায়। এখান থেকে বাংলাদেশ ও বিহারেও এই মাদক পাচার করার ছকে ছিল পাচারকারীরা। তার আগেই গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তিন পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করল কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)। ধৃতদের মধ্যে দু’জন মণিপুর ও একজন বিহারের বাসিন্দা।
সোমবার রাতে যাদবপুরের ইএম বাইপাস লাগোয়া সার্ভে পার্ক থানা এলাকায় অজয়নগরে গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে বিশাল পরিমাণ নিষিদ্ধ মাদক উদ্ধার করা হয়। গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। মূলত ইয়াবা পাচারে রোহিঙ্গারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়ে থাকে। এই মাদক রোহিঙ্গাদের একটি চক্র মায়ানমার থেকে মাদক পাচার করে উত্তর-পূর্ব ভারত হয়ে কলকাতায় পাঠিয়েছে বলে সন্দেহ গোয়েন্দাদের। মঙ্গলবার তিন ধৃতকে আদালতে তোলা হলে তাদের ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
পুলিশ জানিয়েছে, একটি মারুতি গাড়ি করে প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকার নিষিদ্ধ ‘ইয়াবা’ মাদক পাচার করার জন্য আনা হয়েছিল শহরে। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সার্ভে পার্কে চলে আসে। মারুতি গাড়িটিকে সন্দেহ হওয়ায় দাঁড় করিয়ে তল্লাশি শুরু হয়। প্রথমে আরোহীরা তাতে কোনও নিষিদ্ধ বস্তু রয়েছে বলে অস্বীকার করে। গোয়েন্দাদের সন্দেহ হয়, গাড়ির মধ্যে কোনও গোপন কুঠুরিতেই তারা লুকিয়ে রেখেছে মাদক। শেষ পর্যন্ত দরজার ভিতর ফাঁপা অংশ কেটে ফেলতেই বেরিয়ে আসে একের পর এক ইয়াবার প্যাকেট। মোট ১৩ কিলো ৫৩৪ গ্রাম ওজনের প্রায় ১ লক্ষ ১৮ হাজারটি ইয়াবা ট্যাবলেট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ধৃতদের জেরা করে এই চক্রের অন্য মাথাদের সন্ধান চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.