ছবি: প্রতীকী
গোবিন্দ রায়: ফের কলকাতা হাই কোর্টে (Calcutta High Court) ভুল স্বীকার করল স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC)। ২০১৬ সালে নবম-দশম-একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ (SLST) পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে একাধিক ভুল প্রশ্ন ছিল। সেই প্রশ্নের উত্তর লিখলেই নম্বর দিতে হবে, এই দাবিতে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা দায়ের করেছিল কয়েকজন পরীক্ষার্থী। সোমবার সেই মামলায় নিজেদের ভুল স্বীকার করে নেয় কমিশন। এর পরই ভুল প্রশ্ন বাবদ পরীক্ষার্থীদের নম্বর দেওয়ার নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থা।
২০১৬ সালে নবম-দশম-একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা নেয় স্কুল সার্ভিস কমিশন। নবম এবং দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের ইতিহাস পরীক্ষায় ৬ এবং ৪০ দাগের প্রশ্ন দু’টি ভুল ছিল। গলদ ছিল একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের ইতিহাস পরীক্ষাতেও। প্রশ্নপত্রের ১১, ১২ এবং ২৩ নম্বর প্রশ্ন ভুল ছিল বলে অভিযোগ করেন পরীক্ষার্থীরা। এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিলেই, ঠিক বা ভুল যাই হোক না কেন, এই দাবিতে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন পরীক্ষার্থীদের একাংশ। নবম-দশমের ২০ পরীক্ষার্থী এবং একাদশ – দ্বাদশের ২ চাকরিপ্রার্থী ছিলেন মামলাকারী।
বিচারপতি রাজশেখর মান্থার এজলাসে এই মামলার শুনানি ছিল। সেখানে নিজেদের ভুল স্বীকার করে নেয় কমিশন। এরপরই বিচারপতি নির্দেশ দেন যে প্রতিটি ভুল প্রশ্ন বাবদ পরীক্ষার্থীদের নম্বর দিতে হবে। উল্লেখ্য, চাকরির পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে ভুল প্রশ্ন থাকলে, পরীক্ষার্থীরা যদি তার উত্তর দেয়, ঠিক-ভুল যাই হোক না কেন, তাতে নম্বর দিতে হয়। এটাই চাকরির পরীক্ষার ক্ষেত্রে নিয়ম।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ভুল প্রশ্নের নম্বর দেওয়া কেন্দ্র করে জটিলতা তৈরি হয়েছিল। এই নম্বরকে কেন্দ্র করে নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছিল বলেও অভিযোগ। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে সেই নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.