ছবি: প্রতীকী।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাওড়ায় মহিলাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ। কারখানার নর্দমা থেকে উদ্ধার হল দেহ। মহিলার মাথায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। অভিযোগ, ধর্ষণের পরই মহিলাকে খুন করা হয়। তারপর কারখানা লাগোয়া নর্দমায় ফেলে দেওয়া হয় নিথর দেহ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে ব্যাটরা থানা এলাকার এক কারখানায়। এর জেরে এলাকা জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য লেগেই থাকত ওই এলাকায়। কারখানা লাগোয়া বাসিন্দাদের পরিস্থিতি সব থেকে খারাপ। অভিযোগ, অন্ধকার নামলেই সমাজবিরোধীদের আনাগোনা বেড়ে যায়। কারখানা চত্বরে বসেই চলে মদ্যপান। মদ খাওয়ার পর পার্শ্ববর্তী বাড়িগুলি লক্ষ্য করে বোতল ছুঁড়ে ফেলা হয়। শুক্রবার রাতেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। রাত ১২টা বেজে ৪০ মিনিট নাগাদ কারখানার আশেপাশের বাড়ির বাসিন্দাদের কানে আসে এক নারীকণ্ঠের আর্তনাদ। সবাই ভেবেছিলেন, প্রতিমা নিরঞ্জন করে ফিরে কেউ হয়তো মা মা বলে কান্নাকাটি করছেন। কারখানার কোনও কর্মীর স্ত্রীও কান্নাকাটি করতে পারেন বলেও ভেবেছিলেন অনেকে। তবে শনিবার সকালেই পরিস্থিতি বদলে যায়। কারখানা লাগোয়া নর্দমায় এক মহিলার দেহ পড়ে থাকতে দেখেন পড়শিরা। তড়িঘড়ি ব্যাটরা থানায় খবর যায়। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করতেই অনেকে চিনতে পারেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, পুজোর শুরুতেই ওই কারখানায় এসেছিলেন মহিলা। কারাখানার এক নিরাপত্তাকর্মীর সঙ্গে তাঁর বেশ ভাল সম্পর্ক ছিল। প্রায়ই ওই কর্মীর সঙ্গে কথা বলতে দেখা যেত তাঁকে। তবে দেহ উদ্ধারের পর থেকেই ওই নিরাপত্তাকর্মীর কোনও খোঁজ নেই। স্থানীয়দের অনুমান, মহিলার খুনের খবর পেয়ে সে গা-ঢাকা দিয়েছে।
জানা গিয়েছে, কারাখানার ভিতরে হেন কোনও অপরাধ নেই যে হয় না। এই খুনের ঘটনা তারই নামান্তর। দুষ্কৃতীদের অনেকেই এই ঘটনায় জড়িত থাকতে পারে। পুলিশ তদন্ত করে অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তি দিক। এমনটাই চাইছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অভিযুক্তরা শাস্তি পেলে এলাকায় দুষ্কৃতীদের উৎপাত অনেকটাই কমবে বলে খবর। এদিকে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ধর্ষণের পরেই মহিলাকে খুন করা হয়েছে। মাথার পাশাপাশি দেহের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট এলেই বাকি ধোঁয়াশা কাটবে বলেই দাবি তদন্তকারীদের। এদিকে খুনের প্রসঙ্গে মুখে কুলুপ এঁটেছে কারাখানা কর্তৃপক্ষ।
[অধীরের ছেড়ে যাওয়া ঘরে বসলেন না সোমেন!]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.