প্রতীকী ছবি
অর্ণব আইচ: খাস কলকাতায় মহিলার রহস্যমৃত্যু। রাতভর নিখোঁজ থাকার পর আলিপুরের গেস্ট হাউস থেকে মহিলা ব্যাঙ্ককর্মীর দেহ উদ্ধার। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি। তবে কোনও সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি। চেতলা থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
নিহত বছর আটত্রিশের সুমনা মণ্ডল কসবা থানা এলাকার বাসিন্দা। রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কের কর্মী তিনি। পরিবার সূত্রে খবর, গত শুক্রবার থেকে নিখোঁজ হয়ে যান তিনি। রাতে বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন দুশ্চিন্তা শুরু করেন। খোঁজাখুঁজিও হয় সর্বত্র। তবে তা সত্ত্বেও তাঁর খোঁজ পাওয়া যায়নি। কসবা থানায় নিখোঁজ ডায়েরিও করা হয়। তার ঠিক ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই দুঃসংবাদ পান সুমনার পরিবারের লোকজন।
পুলিশ সূত্রে খবর, আলিপুরের একটি গেস্ট হাউস থেকে অচৈতন্য অবস্থায় সুমনাকে উদ্ধার করা হয়। জানা গিয়েছে, শুক্রবার চেতলা থানা এলাকার ৪২ সি, রাজা সন্তোষ রোডে আলিপুর গেস্ট হাউসে ঘর ভাড়া নেন। ৩০১ নম্বর ঘরে ছিলেন তিনি। ঘর থেকে একবারও বেরতে দেখা যায়নি তাঁকে। শনিবার সকালেও তাঁকে বেরতে না দেখে চিন্তিত হয়ে পড়েন গেস্ট হাউসের কর্মীরা। ডাকাডাকি শুরু হয়। তবে দীর্ঘক্ষণ ডাকাডাকিতেও সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি। ঘরের দরজা খুলে ভিতরে ঢুকে আঁতকে ওঠেন গেস্ট হাউস কর্মীরা। তাঁরা দেখেন ওই ঘরেই অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছেন সুমনা। চেতলা থানার পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসকরা জানান, মৃত্যু হয়েছে তাঁর। গেস্ট হাউস কর্মীরা ওই ঘরে আর কাউকে ঢুকতে বা বেরতে দেখেননি। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, আত্মহত্যা করেছেন সুমনা। কী কারণে আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি, তা এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশ সূত্রে খবর, গেস্ট হাউসের ঘর থেকে কোনও সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। এই ঘটনা সংক্রান্ত তথ্যের খোঁজে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলছেন তদন্তকারীরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.