Advertisement
Advertisement

Breaking News

করোনা ভাইরাস

খাস কলকাতায় করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক, শ্বাসকষ্টে মৃত্যু থাইল্যান্ডের তরুণীর

তরুণীর মেডিক্যাল রিপোর্ট খতিয়ে দেখছে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর।

Woman who lived in Thailand died on Ruby Hospital
Published by: Sayani Sen
  • Posted:January 27, 2020 7:23 pm
  • Updated:January 27, 2020 7:23 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কলকাতায় বেড়াতে এসে থাইল্যান্ডের এক তরুণীর মৃত্যু। গত তিনদিন ধরে রুবি হাসপাতালে শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভরতি ছিলেন ওই তরুণী। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, ভরতির সময় তাঁর শারীরিক অবস্থা এতটাই আশঙ্কাজনক ছিল যে ওই তরুণীকে প্রথম থেকেই ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল। সোমবার দুপুরে হাসপাতালেই মারা যান তিনি। ওই তরুণী আদৌ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মৃতার মেডিক্যাল রিপোর্ট সংগ্রহ করেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর। 

জানা গিয়েছে, নভেম্বর মাসে থাইল্যান্ড থেকে নেপালে বেড়াতে গিয়েছিলেন তিনি। এরপর ১৮ জানুয়ারি কলকাতায় বেড়াতে আসেন। বমি, জ্বর, শ্বাসকষ্ট শুরু হয় তাঁর। ২১ জানুয়ারি তাঁকে রুবি হাসপাতালে ভরতি করা হয়। ভরতির সময় তাঁর শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত সংকটজনক ছিল। তাই তরুণীকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। সোমবার দুপুরে মৃত্যু হয় তাঁর। মৃতার শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার রিপোর্ট সংগ্রহ করেছে রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর। এই মুহূর্তে করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে ত্রস্ত চিন। নেপালেও থাবা বসিয়েছে ভাইরাস। তরুণী থাইল্যান্ড থেকে নেপালে গিয়েছিলেন তাই ওই তরুণীর শরীরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের আশঙ্কা এড়ানো যাচ্ছে না। ভাইরাস সংক্রমণে তিনি মারা গিয়েছেন কী না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর যা জানতে চাইবে, সেই সংক্রান্ত তথ্য দেওয়া হবে বলেই জানিয়েছে রুবি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যেই দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। ওই তরুণীর পরিজনেরাও কলকাতার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। শহরে এসে পৌঁছলেই তরুণীর মরদেহ পরিজনদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: কান্না থামাতে নাকে-মুখে সেলোটেপ! ১৫ মিনিটেই সন্তান খুনের পর দেহ লোপাট মায়ের]

করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে ত্রস্ত চিন। প্রায় মহামারির আকার ধারণ করেছে চিনা ভাইরাস। হু হু করে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। সেই আতঙ্ক গ্রাস করেছে বাংলাকেও। সোমবার সকালে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে এক চিনা তরুণীকে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত সন্দেহে ভরতি করা হয়। আইসোলেশন ওয়ার্ডে রেখে শুরু হয় চিকিৎসা। তবে বেলা বাড়ার পরই শহরবাসীকে আশ্বস্ত করেন চিকিৎসকরা। জানিয়ে দেওয়া হয়, ওই তরুণীর মামুলি সর্দি, কাশি, জ্বরই হয়েছে। তিনি করোনা ভাইরাস আক্রান্ত নন। তবে সেই স্বস্তি দীর্ঘস্থায়ী হল না। কারণ, সন্ধে হতে না হতেই থাইল্যান্ডের তরুণীর মৃত্যু চিন্তা বাড়াচ্ছে শহরবাসীর।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement