সুব্রত বিশ্বাস: ছুরির আঘাতে ক্ষতবিক্ষত শরীর। রক্তে ভিজে গিয়েছে জামা-কাপড়। তবুও বিন্দুমাত্র বিচলিত হননি বছর চল্লিশের সোনু শর্মা। চরম বিপদেও মাথা ঠান্ডা রেখে জাপটে ধরে রাখেন ডাকাতকে। একই সঙ্গে সহযাত্রীদের সজাগ করতে জুড়ে দেন চিৎকার। শেষমেশ ধরা পরে ডাকাত।আহত সোনুকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আপাতত সুস্থ তিনি।
[মন্দির তৈরির দাবিতে অযোধ্যায় ২ লক্ষ করসেবক, শহরজুড়ে চাপা উত্তেজনা]
পুলিশ সূত্রে খবর, সোনু শর্মার বাড়ি উত্তরপাড়ায়। তিনি আলিপুরের একটি বাড়িতে রান্নার কাজ করেন। বাড়ি থেকে লোকাল ট্রেনেই কর্মক্ষেত্রে যাতায়াত করেন তিনি। শুক্রবার আর পাঁচটা দিনের মতোই হাওড়া থেকে রাত ১০টা ২০ মিনিটের ব্যান্ডেল লোকালে চাপেন তিনি। মহিলা কামরাতে একাই ছিলেন সোনু। সেই সুযোগে তাঁকে আক্রমণ করে তিন দুষ্কৃতী। মোবাইল ও ব্যাগ ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে তারা। বাধা দিতে গেলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয় সোনুকে। এহেন বিপর্যয়েও মাথা ঠান্ডা রেখে রেলডাকাতকে জাপটে ধরে রাখেন তিনি। জুড়ে দেন চিৎকার। বিপদ বুঝে পিটটান দেয় বাকিরা। ট্রেন ততক্ষণে হাওড়া স্টেশনের কারশেডের কাছে পৌঁছে গিয়েছে। সোনুর চিৎকার শুনে চেন টেনে ট্রেন থামান অন্য কামরার যাত্রীরা। ছুটে আসেন কারশেডের আশপাশের লোকজনও। তারপর বেদম মার দিয়ে ওই ডাকাতকে রেল পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। আহত সোনুকে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
জানা গিয়েছে, ধৃত ডাকাতের নাম গুড্ডু সিং। সদ্য একটি ডাকাতির মামলায় ধরা পড়ে সে। কিন্তু কথায় আছে, স্বভাব যায় না মলে। তিনদিন বাদে জেল থেকে ছাড়া পেয়ে ফের ডাকাতি করতে শুরু করে গুড্ডু। তবে এবার সাহসী সোনুর পাল্লায় পরে ফের তাঁকে হাজতে যেতে হয়েছে। উল্লেখ্য, হাওড়া স্টেশন চত্বরে দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব নতুন কিছু নয়। বিশেষ করে রাতের ট্রেনে মহিলা কামরার নিরাপত্তা ফের একবার প্রশ্নের মুখে।
[কাসভ যেন ভিডিও গেম খেলছিল! ভয়াবহ অভিজ্ঞতার বর্ণনা ২৬/১১-র অন্যতম সাক্ষীর]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.