অর্ণব আইচ: শিশুসন্তানকে নিয়ে হাওড়া ব্রিজ লাগোয়া গাছ থেকে গঙ্গায় ঝাঁপ দিলেন এক মহিলা। বরাতজোরে রক্ষা পেয়েছে মা ও শিশু। ২ জনকেই উদ্ধার করেছে নৌবাহিনীর টহলদারি দল। ওই মহিলা ও তাঁর শিশুসন্তানকে ভরতি করা হয় হাসপাতালে। শিশুটি অবশ্য বাঁচানো যায়নি। হাসপাতালে মারা যায় সে। ঘটনার তদন্তে উত্তর বন্দর থানা।
[পাড়ার মহিলাদের অশ্লীল ছবি তোলাই শখ, জানাজানি হতেই পলাতক যুবক]
এখন দ্বিতীয় হুগলি সেতু হয়েছে ঠিকই। তবে কলকাতা ও হাওড়া শহরের প্রধান যোগসূত্র হাওড়া ব্রিজ বা রবীন্দ্রসেতু। কলকাতার বড়বাজার থেকে শুরু হয়ে সেতুটি শেষ হয়েছে হাওড়া স্টেশনের কাছে। তাই বিকল্প পখ থাকা সত্ত্বেও, হাওড়া ব্রিজে যানচলাচল কমেনি এতটুকু। অনেকে আবার হেঁটেও যাতায়াত করেন। রবিবার সকালে যখন গঙ্গায় টহল দিচ্ছিল নৌবাহিনীর একটি দল। প্রিন্সেপঘাট থেকে হাওড়ার দিকে যাওয়ার পথে টহলদারির দলের সদস্যরা খেয়াল করেন, হাওড়া ব্রিজের কাছে একটি গাছ থেকে শিশুসন্তানকে নিয়ে ঝুলছেন এক মহিলা। কিছুক্ষণ পরেই আচমকা গঙ্গায় ঝাঁপ দেন তিনি। ঝাঁপ দেওয়ার পর গঙ্গার স্রোতে তলিয়ে যেতে থাকেন ওই মহিলা। তাঁকে ও তাঁর শিশুসন্তানকে উদ্ধার করে নৌবাহিনীর সদস্যরা। দু’জনকে নিয়ে যাওয়া হয় রিভার ট্রাফিক পুলিশ স্টেশনে। গঙ্গার যে অংশে ঘটনাটি ঘটেছে, সেই অংশটি উত্তর বন্দর থানার অধীন। থানার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। এখন মা ও শিশুটি ভরতি করা হয় হাসপাতালে। হাসপাতালে শিশুটি মারা যায়। ওই মহিলার পরিচয় এখনও জানা যায়নি। তবে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, গঙ্গায় ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টাই করেছিলেন তিনি। পুলিশ জানিয়েছে, আতঙ্কে ওই মহিলা কথাই বলতে পারছেন না।
[ফ্রায়েড রাইসে মরা আরশোলা! রেস্তরাঁর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের]
হাওড়া ব্রিজের কলকাতা দিকের অংশের নিরাপত্তার দায়িত্ব কলকাতা পুলিশের। আর হাওড়ার দিকে হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটের গোলাবাড়ি থানার অধীন। আর হাওড়া ব্রিজের রক্ষণাবেক্ষণ করে কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষ। দিন কয়েক আগেই সকলের নজর এড়িয়ে হাওড়া ব্রিজের মাথায় উঠে পড়েছিলেন এক মানসিক ভারসাম্যহীন। তাঁকে নামিয়ে আনতে রীতিমতো হিমশিম খেয়েছিলেন পুলিশ ও দমকল। যানজটে দুর্ভোগে পড়েছিলেন নিত্যযাত্রীরাও।
[তলপেটের অঙ্গ উঠে এসেছে বুকে! বিরল অস্ত্রোপচারে প্রাণ বাঁচল যুবকের]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.