কলহার মুখোপাধ্যায়: ফেসবুকে যুবকের প্রেমের ফাঁদে পা দিয়ে সপ্তাহ খানেক আগে সর্বস্ব খুইয়েছিলেন বধূ। অবশেষে পুলিশের তৎপরতায় উদ্ধার হল খোয়া যাওয়া গয়না। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাতেই মূল অভিযুক্ত-সহ দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে লেকটাউন থানার পুলিশ।
মাসকয়েক আগে ফেসবুকে ওই বধূর সঙ্গে আলাপ হয় রূপম মণ্ডল নামে যুবকের। সে কলকাতা পুলিশের এক অফিসার বলে নিজের পরিচয় দেয়। চাল-চলন দেখেই রূপমের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়েন ওই বধূ। সোশ্যাল সাইটেই যুবকের প্রতি আকর্ষণের কথা প্রকাশ করেন ওই মহিলা। সেই ইঙ্গিত পেয়েই ফাঁদ পাতার কাজ শুরু করে দেয় রূপম। বার্তা চালাচালির পর ফোনে কথা শুরু হয়। রূপমের মিষ্টি কথার জালে আরও জড়াতে থাকেন মহিলা। শুরু হয় দেখা। কয়েকদিন যেতেই বধূকে প্রেম নিবেদন করে রূপম। বধূ রাজি না হওয়ায় আত্মহত্যার হুমকি দেয় রূপম। স্বামীকে ছেড়ে ছেলেটির সঙ্গে ঘর বাঁধতে রাজি হয়ে যান ওই বধূ। পালিয়ে বিয়ে করার পরিকল্পনা নিয়ে সপ্তাহখানেক আগে পাঁচ লাখ টাকার গয়না নিয়ে লেকটাউনের বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন ওই মহিলা।
বেরিয়ে দেখা করেন রূপমের সঙ্গে। কলকাতার বহু রাস্তায় ঘোরাঘুরি করেন যুগল। প্রায় ঘণ্টাচারেক পর আনন্দপুরে বাইপাসের ধারে বাইক থামায় রূপম। সেই সময় রূপমের একটি ফোন আসে। কথোপকথনের পর বধূকে সে জানায় তাকে মিনিট দশেকের জন্য একটু যেতে হবে। জরুরি দরকার। মহিলাকে রাস্তার ধারে দাঁড় করিয়ে বাইক স্টার্ট দেয় সে। বলে, ব্যাগটা আমাকে দাও। গয়না নিয়ে একা দাঁড়ানো ঠিক হবে না। মহিলা সরল মনে পাঁচ লক্ষ টাকার গয়না ভরতি ব্যাগটি তুলে দেন যুবকের হাতে। তারপর কয়েক ঘণ্টা কেটে যাওয়ার পরও রূপমের দেখা নেই। ফোন বন্ধ। সন্ধে অবধি অপেক্ষা করে বাড়ির পথ ধরেন মহিলা। লেকাটউনে ফিরে স্বামীকে সব কথা খুলে বলেন।
এরপরই মহিলার স্বামী লেকটাউন থানায় অভিযোগ দায়ের। শুরু হয় তদন্ত। মঙ্গলবার রাতে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে লেকটাউন থানার পুলিশ। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, অভিযুক্তের আসল নাম সৌমিত্র মণ্ডল। সন্দেশখালির বাসিন্দা। সৌমিত্রকে সহযোগিতার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ওই যুবকের এক বন্ধুকেও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.