মৃত মহিলা চিকিৎসক দীপা হালদার।
অর্ণব আইচ: আইপিএল (IPL) ম্যাচ দেখা নিয়ে দাম্পত্য অশান্তি হয়েছিল। কিন্তু তার জেরেই এমন এক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, তা কে-ই বা ভেবেছিল? হরিদেবপুরে নিজের বাড়ি থেকে মহিলা চিকিৎসকের দেহ (Deadbody) উদ্ধারের পর সেই অশান্তিকেই দায়ী করছেন অনেকে। তদন্তে নেমেছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী (Suicide) হয়েছেন তিনি। তবে কোনও সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়নি। দোলের আগের দিন এমন এক ঘটনায় শোকের আবহ পরিবারে। ঠিক কী কারণে মহিলা চিকিৎসকের এই ঘটনা, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
হরিদেবপুরের (Haridevpur) ‘রামভিলা’র বাসিন্দা বছর সাতান্নর দীপা হালদার। পেশায় চিকিৎসক হলেও পরবর্তী সময়ে তিনি আর প্র্যাকটিস করতেন না। স্বামী সুশোভন হালদার এসএসকেএমের চিকিৎসক। তাঁদের একমাত্র সন্তান লন্ডনে (London) ডাক্তারি পড়ে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, দীপা বেশ কয়েকদিন ধরে মানসিক অবসাদে (Depression) ভুগছিলেন। নিয়মিত ওষুধ খেতে হতো।
শনিবার ছিল আইপিএলের দুটি ম্যাচ – সানরাইজার্স হায়দরাবাদ বনাম কলকাতা নাইট রাইডার্স এবং দিল্লি ক্যাপিটালস বনাম পাঞ্জাব কিংস। শোনা যাচ্ছে, এই ম্যাচ দেখা নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বচসা হয়। এর পরই দীপাদেবী নিজের ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন। তিনি খাননি, ওষুধও খাননি। এর পর রবিবার সকালে অনেকক্ষণ ধরে তাঁর ঘরের দরজা বন্ধ থাকায় ডাকাডাকি করেন পরিবারের লোকজন। কিন্তু সাড়া পাননি। দরজা ভেঙে ঢুকে দেখা যায় দীপাদেবীর ঝুলন্ত দেহ (Hanging deadbody)। মনে করা হচ্ছে, আইপিএল নিয়ে স্বামীর সঙ্গে অশান্তির পরই আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। তবে দীর্ঘদিন ধরে তাঁর ডিপ্রেশনে থাকার বিষয়টিও উড়িয়ে দিচ্ছেন না তদন্তকারীরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.