ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: উৎসবের মরশুমেও চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গু (Dengue)। প্রাণও যাচ্ছে একের পর এক। এবার ডেঙ্গু সংক্রমণে প্রাণ গেল এক সদ্য প্রসূতির। মঙ্গলবার রাতে পিজি হাসপাতালে ডেঙ্গু সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে এক প্রসূতির। মৃতার নাম গুড়িয়া রজক (২২)। মৃতার বাড়ি কলকাতা পুরসভার ৭০ নম্বর ওয়ার্ডের ভবানীপুরের নন্দন পার্ক এলাকার বলরাম বোস ফার্স্ট লেনে।
মৃতার পরিবার সূত্রে খবর, গত সপ্তাহে জ্বর, মাথা যন্ত্রণার উপসর্গ নিয়ে এসএসকেএম হাসপাতালের আউটডোরে দেখাতে আসেন। তখনকার মতো একপ্রস্থ দেখিয়ে চলে যান। ফের রবিবার জ্বরের সমস্যা হলে পিজি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। চিকিৎসকরা তাঁকে পর্যবেক্ষণের পর ভরতি করতে বলেন। হাসপাতালে ভরতি হন ২২ বছরের গুড়িয়া রজক।
সূত্রের খবর, গুড়িয়ার পরিবারকে বলা হয় প্রসূতির সন্তানের স্বার্থে প্রসব করতে হবে। ইতিমধ্যে প্রসব যন্ত্রণাও শুরু হয়। গুড়িয়ার একটি পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। কিন্তু এরপরেই রোগিনীর শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি হতে শুরু করে। শেষ পর্যন্ত গত রাতে মৃত্যু হয় ওই প্রসূতির। সন্তান জন্মের মাত্র ৪৮ ঘন্টার মধ্যে এক প্রসূতির এমন মর্মান্তিক মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে আসে গোটা এলাকা। পিজি হাসপাতাল থেকে দেওয়া ডেথ সার্টিফিকেটে ‘কার্ডিও রেসপিরেটরি ফেলিওর উইথ কমপ্লিকেটেড ডেঙ্গু’ উল্লেখ করা হয়েছে।
স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে খবর, ওই প্রসূতির ডেঙ্গু পরীক্ষা ও অন্যান্য তথ্য চেয়ে পাঠানো হয়েছে। তথ্য বলছে এখনও পর্যন্ত কলকাতা পুর এলাকায় অন্তত ১৭ জনের ডেঙ্গু সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে। ডেঙ্গু সংক্রমণ যেমন বাড়ছে তেমনই কমবয়সী, বিশেষ করে ২০-৫০ বছরের মধ্যে ডেঙ্গু সংক্রমণ বেশি দেখা যাচ্ছে। বিসি রায় শিশু হাসপাতালে ডেঙ্গুর জন্য বরাদ্দ হয়েছে ২৫টি বেড। এরমধ্যে ২৩ জন ডেঙ্গু রোগী ভরতি। যাদের বয়স ১২ বছরের মধ্যে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.