Advertisement
Advertisement
চোর

বউয়ের গলা নকল করে ফোন মহিলা পুলিশকর্মীর, চমকে গিয়ে স্বীকারোক্তি ‘চোর’-এর

কিনারা হল বড়বাজারের চার লাখ টাকা চুরির

Woman cop calls thief as his wife, accused busted by Police
Published by: Subhamay Mandal
  • Posted:November 27, 2019 6:36 pm
  • Updated:November 27, 2019 6:36 pm  

অর্ণব আইচ: হ্যাঁ গো, তুমি যে টাকা নিয়েছ, তা পুলিশ জেনে গেল কী করে? পুলিশ আমায় ফোন করছে কেন? থানায় বসে ফোনে বউয়ের গলা শুনেই চমকে গিয়েছিল লোকটি। ধর্মপত্নীই শেষ পর্যন্ত পুলিশের কাছে ফাঁস করে দিল রহস্য?

বড়বাজার থানায় টানটান উত্তেজনা। লোকটিকে ঘিরে পুলিশ আধিকারিকরা। শেষ পর্যন্ত দীর্ঘশ্বাস ফেলে অবনী মণ্ডল নামে ব্যক্তিটি স্বীকার করে যে, বড়বাজারের দোকান থেকে চার লাখ টাকা চুরির পিছনে রয়েছে সে-ই। একটি কৌটোর মধ্যে কালো প্লাস্টিকে মুড়ে সেই নোটগুলি রেখে নোংরা বাথরুমের কোণায় ফেলে রেখেছে সে। তার স্বীকারোক্তির সঙ্গে সঙ্গেই হাসিতে ফেটে পড়েন পুলিশ অফিসাররা। কারণ, চুরির অভিযুক্ত অবনী মণ্ডলের স্ত্রী যে আদৌ ফোনই করেননি। থানার বাইরে থেকে অবনীর স্ত্রীর গলা নকল করে তাকে ফোন করেছিলেন এক মহিলা পুলিশকর্মী। অন্যের গলা নকল করার মুন্সিয়ানাও রয়েছে তাঁর। আর পুলিশের পাতা সেই ফাঁদেই পা দেয় লোকটি। চুরি করা টাকা সেখান থেকে নিয়ে পালানোর সুযোগ খুঁজছিল সে। তার আগেই বড়বাজার থানার অফিসার সন্দীপ পালের নেতৃত্বে একটি টিম অবনী মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করে উদ্ধার করল চার লাখ টাকা।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, বড়বাজারের এন এস রোডে প্লাস্টিকের ব্যবসা রয়েছে পুষ্পেন্দ্রকুমার চৌধুরির। দোকানের দোতলায় তিনি রেখেছিলেন ৯ লক্ষাধিক টাকা। অসুস্থতার কারণে কয়েকদিন দোকানে যাননি তিনি। তার আগে সিন্দুকের চাবিটি তিনি ভুল করে সঙ্গে না নিয়ে বাক্সের উপরই রেখে যান। আর সেই সুযোগেই সিন্দুক থেকে দু’হাজার টাকার নোটে মোট চার লাখ টাকা বের করে নেয় দোকানেরই কর্মচারী অবনী মণ্ডল। হুগলি জেলার চণ্ডীতলার বাসিন্দা সে। টাকা হাতিয়ে প্লাস্টিক ও কৌটোয় পুরে ওই বাড়িরই কোণায় এমন একটি নোংরা বাথরুমে সে রেখে আসে, যেখানে সচরাচর কেউ যায় না।

সোমবার দোকানের মালিক সিন্দুক খুলেই বুঝতে পারেন যে, চুরি হয়েছে টাকা। বড়বাজার থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করে দেখে, দোকানে কোনও সিসিটিভি নেই। চার কর্মচারীকে জেরা করে শেষ পর্যন্ত অবনীকেই পুলিশের সন্দেহ হয়। কিন্তু তারও মুখ বন্ধ। তখনই পুলিশ আধিকারিকরা এক মহিলা পুলিশকর্মীকে দিয়ে ফাঁদ পাতেন। তাই জেরার সময়ও ফোন নিয়ে নেওয়া হয়নি অবনীর। একটি অচেনা নম্বর থেকে ফোন করে থানারই এক মহিলা পুলিশকর্মী অবনীর স্ত্রীর গলা নকল করে বলেন, তাঁর ফোনে চার্জ নেই বলে অন্য একজনের মোবাইল থেকে তিনি ফোন করছেন। ‘বউ’য়ের প্রশ্নে লোকটি চমকে ওঠে। শেষ পর্যন্ত পুলিশের সামনে ভেঙে পড়ে সে। তাকে সঙ্গে নিয়ে ওই বাথরুমে তল্লাশি চালিয়ে ওই চার লাখ টাকা উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement