Advertisement
Advertisement

Breaking News

ক্যাব

সামাজিক বিদ্রূপ উপেক্ষা করে লড়াইয়ে মহিলা ক্যাব চালক, সুদিনের অপেক্ষায়

আরও মহিলাকে এই পেশায় স্বাগত জানাচ্ছেন মানসী।

Woman cabby fight for right of way on Kolkata road
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:April 29, 2019 8:28 pm
  • Updated:April 29, 2019 8:28 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পেটের দায়ে ক্যাব নিয়ে শহরের পথে বেরতে বাধ্য হয়েছিলেন এক মহিলা। কিন্তু পদে পদে হেনস্তার শিকার হতে হচ্ছে তাঁকে। অভিযোগ, গাড়ি নিয়ে বাড়ি থেকে বেরোনোর পর থেকে শুরু করে শহরের রাস্তায় গাড়ি পার্কিং, সব ক্ষেত্রেই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে তাঁকে। তাই এবার তাঁর লড়াই শহরে মহিলাদের জন্য নির্দিষ্ট পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা। তিনি চান,  প্রথাগত ধারণা ভেঙে এই পেশায় আসুক আরও মহিলা। পুরুষ ক্যাব চালকদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজে নামুন মহিলারাও। 

       [আরও পড়ুন: সরকারি হাসপাতালে চাকরির টোপ দিয়ে চার লাখ নিয়ে উধাও ‘রুমমেট’!]

Advertisement

মানসী মৃধা। কলকাতা শহরের একজন মহিলা ক্যাব চালক। অভিযোগ, প্রতি মুহূর্তে শহরের রাজপথে সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে তাঁকে। কখনও যাত্রীদের জিজ্ঞাসু দৃষ্টি,  কখনও আবার পুরুষ সহকর্মী অর্থাৎ কলকাতা শহরের অন্যান্য ক্যাব চালকদের অসহযোগিতায় জেরবার মানসী। বর্তমান সময় দাঁড়িয়ে তাঁর সব থেকে বড় সমস্যা পার্কিং। অভিযোগ, শহরের যে কোনও পার্কিং লটে গাড়ি রাখতে গেলেই তাঁর পুরুষ সহকর্মীদের দুর্ব্যবহারের শিকার হতে হয় তাঁকে। তিনি জানান, “প্রথম দিকে প্রতিবাদ করতে ভয় পেলেও, বর্তমানে পরিস্থিতি বুঝে গিয়েছি। পুরুষদের মাঝে একজন মহিলা গাড়ি নিয়ে বের হলে তাতে  তাঁদের আত্মসম্মানে আঘাত লাগে। সেই কারণেই তারা কখনই মহিলাকে সহকর্মী হিসেবে মেনে নিতে পারেন না বা তাঁদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় যেতে চান না।” তাই এখন মানসীর লড়াই তার পুরুষ সহকর্মীদের বিরুদ্ধে। তিনি চান, পুরুষদের মতোই রাস্তায়, পার্কিং লটে জায়গা পাক মহিলারাও। তাই এখন তাঁর লড়াই শহরে মহিলা ক্যাব চালকদের জায়গা দেওয়ার জন্য। এই লড়াইয়ে পাশে পেয়েছেন তাঁর মতোই আরও একজনকেও।         

[আরও পড়ুন: শহরে চলন্ত অটোয় ‘শ্লীলতাহানি’, সম্ভ্রম বাঁচাতে ঝাঁপ ছাত্রীর]

জানা গিয়েছে, ১৩ বছর বয়সে বাড়ি ছাড়েন মানসী মৃধা। ১৪ বছরে মা-হন তিনি।  এর কিছুদিনের মধ্যেই পারিবারিক অশান্তির জেরে শ্বশুরবাড়ি থেকে বিতাড়িত হন। সেই থেকে শুরু জীবনযুদ্ধ। পেটের তাগিদে গাড়ি চালানো শেখেন তিনি। এরপর  একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সহযোগিতায় পেশা হিসেবে গাড়ি চালানোকেই বেছে নেন। প্রথম দিকে একটু অসুবিধা হলেও এখন তিনি  আত্মবিশ্বাসী। তাঁর কথায়, “যদি কেউ একবার আমার গাড়িতে চড়েন, তিনি ফের আমাকেই খুঁজবেন।”   

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement