Advertisement
Advertisement
বৃদ্ধা

বউমার হাতে বেধড়ক মার, চোখে জল নিয়ে থানায় হাজির বৃদ্ধা

বাঁশদ্রোণীর পর একই চিত্র ধরা পড়ল এবার নাকতলায়৷

Woman allegedly tortured by son's wife, file complain to police
Published by: Tanujit Das
  • Posted:May 29, 2019 10:38 am
  • Updated:May 29, 2019 10:38 am  

অর্ণব আইচ: পারিবারিক গোলমাল। আর তার জেরে শাশুড়ির সঙ্গে বউমার ঝামেলা লেগেই থাকত। কিন্তু তা বলে মারপিট? শাশুড়িকে পিটিয়ে একেবারে ধরাশায়ী করে দিল পুত্রবধূ৷ অশ্রুসিক্ত কণ্ঠে এমনই অভিযোগ করেছেন দক্ষিণ কলকাতার নাকতলার বাসিন্দা এক বৃদ্ধা৷ জানান, তাঁকে মারধর করেছেন তাঁরই বউমা। এই অভিযোগ তুলে নেতাজিনগর থানায় অভিযোগও দায়ের করেছেন ওই বৃদ্ধা।

[ আরও পড়ুন: ভোট মিটতেই পুলিশে বড়সড় রদবদল, বদলি করা হল ১১ জন আইপিএসকে ]

Advertisement

পুলিশ সূত্র জানা গিয়েছে, চোখে জল নিয়ে থানায় আসেন ওই বৃদ্ধা। পুলিশ আধিকারিকদের বলেন, তাঁকে মারধর করা হয়েছে। আর মারধর করেছেন তাঁরই পুত্রবধূ। তিনি পুত্রবধূর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করতে চান। নড়েচড়ে বসেন পুলিশকর্মীরা। প্রায় এক বছর আগে একই ধরনের ঘটনার সাক্ষী ছিল পাশের এলাকা বাঁশদ্রোণী। সেবার এক বৃদ্ধা তাঁর বউমাকে না জানিয়ে গাছের ফুল তুলেছিলেন। আর সেটাই ছিল বৃদ্ধার ‘অপরাধ’। ‘ফুল চুরি’কে ‘অপরাধ’ বলে শুরু হয় শাশুড়িকে মারধর। এখানেও অভিযুক্ত পুত্রবধূ৷ এক প্রতিবেশী সেই মারধরের ফুটেজ মোবাইলে তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় দেন। কিছুক্ষণের মধ্যে সেই শাশুড়ি পেটানোর ফুটেজ ভাইরাল হয়ে যায়। শেষে শাশুড়ির অভিযোগের ভিত্তিতে বাঁশদ্রোণী থানার পুলিশ বউমাকে গ্রেপ্তার করে।

[ আরও পড়ুন: টাকার সন্ধানে এটিএমে ঢুকে প্রিন্টিং মেশিন ভাঙল দুষ্কৃতীরা, খোঁজ শুরুর পুলিশের ]

বাঁশদ্রোণীর পর এবার নাকতলা। তাই নেতাজিনগর থানার আধিকারিকরা এই অভিযোগটি শুনে গুরুত্ব দিয়েই দেখেন। নাকতলা রোডের বাসিন্দা ওই বৃদ্ধার ছেলের বিয়ের পর ধীরে ধীরে পুত্রবধূর সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের অবনতি হতে থাকে। বিভিন্ন কারণে শাশুড়ি ও পুত্রবধূর মধ্যে গোলমাল লেগেই থাকত। সোমবার সকাল থেকেই প্রতিবেশীরা ওই বাড়িটি থেকে ঝগড়াঝাঁটির আওয়াজ পাচ্ছিলেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঝগড়াও বাড়তে থাকে। হঠাৎই চিৎকার করে কেঁদে ওঠেন বৃদ্ধা শাশুড়ি। তাঁর অভিযোগ, বউমা প্রথমে তাঁকে হুমকি দেন। এর পর তাঁকে মারতে শুরু করেন। এই অপমান তিনি মেনে নিতে পারেননি। তিনি হাসপাতালে চিকিৎসা করানোর পরই পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। পুরো ঘটনাটির তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement