সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জায়গা ছেড়ে দিতে কেউই খুব একটা পছন্দ করে না! তা সে মানুষ হোক বা ভূত!
হঠাৎ এই অধিকারবোধের প্রসঙ্গ কেন?
প্রসঙ্গ এল ভূত কোথায় থাকতে পারে, সেই ব্যাপারে। কেবলমাত্র নির্জন জায়গাতে, ভাঙাচোরাতেই যে ভূত থাকে না, সেটা আর ফলাও করে না বললেও চলে! ভূত থাকতে পারে সর্বত্রই। একেবারে মানুষের গা ঘেঁষে!
সেই জন্যই পরশুরাম লিখে গিয়েছিলেন, শহর কলকাতার পথে যে ভিড়টা চোখে পড়ে, তার পুরোটাই মানুষের নয়। ভিড়ের মধ্যে লুকিয়ে থাকে ভূতেরাও! এক ঝলক দেখে তাদের চেনার কোনও উপায় নেই! যদি তারা স্বরূপে আসে, তখনই বোঝা যায় যে তাদের বাস পরপারে!
কথাটা সত্যি কি না, তা নিয়ে বিতর্ক উঠতে পারে। কিন্তু, এই কলকাতার বুকেই এমন এক অফিস আছে যেখানে মানুষের পাশাপাশি ঘুরে বেড়ায় ভূতেরাও!
সল্টলেকের উইপ্রোর অফিসে ঘটে এমন গা শিউরে ওঠা ঘটনা! যে কারণে অফিসের তিন নম্বর টাওয়ারের তিন তলা বছরের বেশির ভাগ সময়টাতেই তালাবন্ধ অবস্থায় খালি পড়ে থাকে!
ফের উঠতে পারে প্রশ্ন- জমজমাট এক কর্পোরেট অফিসে ভূত থাকবে কী করে? আচমকা ভূতেরা কেনই বা হানা দেবে এক অফিসে?
সল্টলেকের যে জায়গায় উইপ্রো-র এই অফিস, সেখানে ভূত আগে থেকেই ছিল। জানা যায়, এক পরিত্যক্ত গোরস্থানের জমিতে গড়ে উঠেছিল এই অফিস। স্থানীয়রা বলেন, বরাবরই অশরীরীর উপদ্রবের জন্য কুখ্যাত ছিল এই গোরস্থান। কুখ্যাতি তার ছিল আরও একটা কারণে।
জানা যায়, এই গোরস্থানে অবাধ বিচরণ ছিল অপরাধীদেরও। একটা সময়ে এই গোরস্থানে মাঝে মাঝেই মিলত অজ্ঞাতপরিচয় মৃতদেহ! স্থানীয়দের দাবি, সেই সব মৃত মানুষরা আজও সেই জায়গা ছেড়ে কোথাও যাননি! সেই জন্যই পরে যখন গোরস্থানের জমিতে উইপ্রো-র অফিস তৈরি হল, তাদেরও আস্তানা হল ওই অফিস!
উইপ্রো-র কর্মচারীরা বলেন, মাঝে মাঝেই তাঁরা রাতের শিফটে কাজ করার সময় নানা ছায়ামূর্তি দেখতে পান। ছায়ামূর্তি দেখা যায় বাথরুমে, দেখা যায় অফিসের করিডরে। অনেক সময় কানের পাশে চাপা স্বরে অশরীরীর কণ্ঠস্বরও শুনেছেন কর্মচারীরা।
তবে, ওই অফিসের সব চেয়ে ভয়ের জায়গা হল তিন নম্বর টাওয়ারের তিন তলা। ওখানে কোনও কর্মচারীকেই সাধারণত যেতে দেওয়া হয় না। বিশেষ করে নতুন কেউ এলে তাঁকে সাবধান করে দেওয়া হয় আগেভাগেই- ভুলেও যেন তিনি তিন তলায় চলে না যান!
অবাক আপনি হতেই পারেন! অবিশ্বাসও করতে পারেন ঘটনাটা!
সে ক্ষেত্রে চেনাজানার মধ্যে কোনও উইপ্রো-কর্মী থাকলে তাঁকে একবার ব্যাপারটা জিগ্যেস করেই দেখুন না! দেখবেন, তিনি ঘটনাটা অস্বীকার করবেন না!
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.