সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কলকাতা পুরভোটে (KMC Election) বিরোধীদের ভরাডুবিতেও নিজের গড় অক্ষত রেখেছেন দীর্ঘদিনের কংগ্রেস কাউন্সিলর সন্তোষ পাঠক (Santosh Pathak)। ৪৫ নং ওয়ার্ড থেকে তিনি আবারও জিতেছেন। আগামী ২৭ তারিখ কাউন্সিলর পদে শপথ নেবেন। কিন্তু তারই মধ্যে তিনি জড়য়ে পড়লেন আইনি বিপাকে। সরাসরি খুনের মামলায় তাঁকে সমন পাঠাল পুলিশ। জানা গিয়েছে, মাস দুই আগে হাওড়ায় এক ব্যবসায়ী খুনের ঘটনার তদন্তে নেমে এবার সন্তোষ পাঠককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবার নোটিস পাঠানো হয়েছে শিবপুর থানার তরফে। এর আগেও ২ বার তাঁকে তলব করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি হাজিরা দেননি বলে অভিযোগ। এবার কী করেন, সেদিকে নজর পুলিশের। প্রয়োজনে কংগ্রেসের (Congress) ভাবী কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করতে পারে পুলিশ।
ঘটনার সূত্রপাত গত অক্টোবরে। শিবপুরের (Shibpur) বাসিন্দা সব্যসাচী মণ্ডল খুন হন বর্ধমানে। তিনি পেশায় ব্যবসায়ী। এই খুনের ঘটনায় সব্যসাচীর কাকা ও খুড়তুতো ভাইদের নাম জড়ায়। সম্পত্তিগত বিবাদের জেরেই তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে অনুমান। এর আগে তাঁর শিবপুরের বাড়িতেও পেট্রল বোমা মেরে খুনের চেষ্টা চলে। সেবার হামলার ঘটনায় উঠেছিল সন্তোষ পাঠকের নাম। তিনি জড়িত বলে ধৃতদের জেরায় জানতে পারেন তদন্তকারীরা, এমনই দাবি ছিল পুলিশের।
এই হত্যাকাণ্ডের তদন্তে নেমে সন্তোষ পাঠককে জেরার জন্য তলব করেছিল পুলিশ। দু’বারের তলবে তিনি যাননি, এমনই অভিযোগ। এবার একুশের পুরভোটে ৪৫ নং ওয়ার্ড থেকে জিতেছেন গত কয়েকবারের কাউন্সিলর সন্তোষ পাঠক। আর তারপর তাঁর বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া ফের শুরু হল। এবার শিবপুর থানা থেকে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সমন পাঠানো হল। পুলিশ সূত্রে খবর, এবার তিনি হাজিরা না দিলে আরও কড়া আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করা হতে পারে।
পুলিশের নোটিস পেলেও সন্তোষ পাঠক হাজিরা দিতে যাবেন না বলেই সাফ জানিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, ”এটা সম্পূর্ণ সাজানো মামলা। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে শাসকদল। আমি এই ঘটনায় জড়িত নই, তাই আগাম সুরক্ষা নিতে আদালতেও যাইনি। ওরা পারলে আমাকে গ্রেপ্তার করুক। আমি জড়িতই নই, ভয় পাব কেন?”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.