বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: সরকার যা চেয়েছিল আদালতের রায়ে সেই মনোভাবই প্রকাশ পেয়েছে, পুজো প্রসঙ্গে হাই কোর্টের রায় নিয়ে এমনটাই মনে করছে বাম ও কংগ্রেস। তবে আদালতের রায় প্রশাসক বা মুখ্যমন্ত্রী লাঘু করবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহপ্রকাশ করেছে বিরোধী দুই দলই। আনন্দের উৎসব যাতে শোকে পরিণত না হয় সেদিকে সরকারকে নজর দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরি (Adhir Ranjan Chowdhury) ও বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী।
সুজন চক্রবর্তীর কথায়, “সরকার এতদিন বলেছে যেন গ্লোবাল অ্যাডভাইজারি কমিটির মনোভাব অনুযায়ী তিনদিক খোলা মণ্ডপ হয়। তাহলে তিনদিক খোলা থাকলে মানুষ সেখান থেকে প্রতিমা দর্শন করে চলে যেতে পারবেন। ভিতরে ঢোকার দরকার হচ্ছে না। হাই কোর্টের রায়ের সঙ্গে এই বিষয়টি একেবারেই বেমানান হচ্ছে না। মুখ্যমন্ত্রী তো নিজেই বেশি ভিড় হোক চাইছেন না। তাই মুখ্যমন্ত্রী নিজেই ভারচুয়ালি উদ্বোধন করেছেন। তাহলে তৃণমূল নেতৃত্ব কেন আদালতে নির্দেশ নিয়ে উলটোপালটা বক্তব্য রাখছেন তা বোঝা যাচ্ছে না।” এরপরই তিনি মনে করিয়ে দেন, ঘরে বসে নমাজ পড়ার আবেদন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রশ্ন তোলেন, তাহলে আদালতের রায়ে কেন সমস্যা হচ্ছে তৃণমূল নেতাদের।
এদিন হাই কোর্টের রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন অধীররঞ্জন চৌধুরি। তবে পুজোর সঙ্গে জড়িত তৃণমূল নেতৃত্ব আদালতের রায়কে মান্যতা দেবেন কি না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রদেশ সভাপতি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। বলেন, “সরকার অযোগ্য, অদক্ষ। তা প্রমাণিত হয়ে গিয়েছে। তাই কোর্টের রায় আদৌ কার্যকর হবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।” তাঁর কথায়, করোনা মোকাবিলা করতে গিয়ে সরকারের কী হয়েছে তা মানুষ দেখেছে। তাই নিজের প্রাণের স্বার্থে সচেতন থেকে সকলের উৎসব পালন করা উচিত। হাই কোর্টের রায় নিয়ে তৃণমূলের সমালোচনায় সরব হয়েছেন সাংসদ ও পুজো সংক্রান্ত মামলার আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য। “ভিড়ে করোনা পালিয়ে যায় বলে তৃণমূল প্রভাবিত একটি পুজো কমিটি হলফনামা দিয়েছে। নিজেদের স্বার্থে তৃণমূল নেতারা মানুষকে বিপদে ফেলতে পিছপা হন না”, মন্তব্য করেন তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.