স্টাফ রিপোর্টার: বিধায়ক মুকুল রায় ‘মানসিকভাবে অসুস্থ’ প্রমাণ হলেই আইনি ব্যবস্থা নেবেন বলে শনিবার জানিয়ে দিলেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। আচমকা কাউকে না জানিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে দিল্লি যাওয়া এবং বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে অসংলগ্ন কথা বলার জেরে জনমানসে প্রশ্ন উঠেছে, মুকুল রায় কি অসুস্থ? স্বয়ং মুকুল-পুত্র শুভ্রাংশু রায় একাধিকবার দাবি করেছেন, ‘‘মুকুল রায় (Mukul Roy) মানসিকভাবে সুস্থ নন।’’
আর এরপরেই রাজনৈতিকমহলে ভোটারদের প্রতি জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ইস্যু তুলে দায়বদ্ধতার প্রশ্ন উঠেছে, ‘‘মানসিক ভাবে ‘সুস্থ’ নন, এমন কেউ কি বিধায়ক থাকতে পারেন?’’ বিষয়টি নিয়ে এদিন এক প্রশ্নের উত্তরে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় (Biman Banerjee) জানিয়েছেন, কেউ যদি নির্দিষ্ট তথ্য ভিত্তিক অভিযোগ করেন তবে মুকুল মানসিকভাবে সুস্থ কি না, তা জানতে চেষ্টা করব।” স্পিকারের কথায়,‘‘যদি আমার কাছে কেউ সত্যিই মস্তিষ্কবিকৃতির অভিযোগ করেন, তবে আমি সেই অভিযোগ ও তথ্য নির্দিষ্ট মেডিক্যাল বোর্ডের কাছে পাঠাবো। বিশেষজ্ঞদের নিয়ে তৈরি সেই বোর্ড যে রিপোর্ট দেবে, তাতে আমি যদি সন্তুষ্ট হই, তবেই বিধায়ক পদ খারিজের জন্য যা যা পদক্ষেপ নিতে হয় বিধানসভা সেটা পর্যায়ক্রমে করব।’’
একই সঙ্গে স্পিকার জানান, তাঁর কাছে নিয়ম মেনে অভিযোগ জমা পড়লে তবেই তিনি কোনও ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাববেন। পাশাপাশিই বিমান বলেন, ‘‘আমার কাছে কোনও নিয়মমাফিক অভিযোগ না এলে মাথাখারাপ নিয়ে কোথায় কী বলা হচ্ছে, তা দেখে আমি কিছুই করব না।’’
দিল্লিতে (Delhi) বসে শুক্রবারই মুকুল দাবি করেছেন, বাড়ির লোক তাঁকে মানসিক ভারসাম্যহীন প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করছেন। যদিও ছেলে শুভ্রাংশু পালটা দাবি করে বলেছেন,‘‘বাবার চিকিৎসার যাবতীয় মেডিক্যাল রিপোর্ট আমার কাছে রয়েছে। উনি হাঁটতে পারছেন না ভাল করে। অস্ত্রোপচারের আগে পর্যন্ত তাঁকে ডায়াপার পরিয়ে রাখতে হত।’’ ভারতীয় সংবিধান মেনে আইন বলছে, কেউ যদি মানসিকভাবে অসুস্থ হন ও কোর্টের নির্দিষ্ট রায় থাকে, তা হলে ভোটারদের জন্য কাজ করতে পারছেন না ধরে নিয়েই তাঁর জনপ্রতিনিধিত্ব চলে যায়। এখন দেখার আদৌ কোনও দল বা কেউ মুকুলের অসুস্থতা নিয়ে স্পিকারের কাছে তথ্য দিয়ে অভিযোগ করেন কি না!
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.