সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তৃতীয় দফার ভোটে রাজনৈতিক হিংসার বলি হয়েছেন মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলার রানিতলার বালিগ্রামের টিয়ারুল আবুল কালাম। তৃণমূল ও কংগ্রেসের সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে৷ কংগ্রেসের দাবি টিয়ারুল তাদের দীর্ঘদিনের কর্মী ছিলেন। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কংগ্রেস কর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টির উদ্দেশে টিয়ারুলকে খুন করা হয়েছে। এই অভিযোগ তুলে আগেই নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন কংগ্রেস কর্মীরা। এবার দলের রাজ্য সভাপতি বিস্ফোরণ ঘটনালেন ফেসবুকে।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ফেসবুকে তৃণমূলের উদ্দেশে প্রশ্ন তোলেন বাংলার গণতন্ত্রের স্বরূপ নিয়ে। ফেসবুকে সোমেন লেখেন, “টিয়ারুল নেই। দীর্ঘদিনের কংগ্রেস কর্মী। অপরাধ? ভয় দেখিয়ে, লোভ দেখিয়ে কেনা যায়নি। টিয়ারুলদের কেনা যায় না। তাই ক্ষমতার মোহে অন্ধ শাসকের পোষা গুন্ডারা আজ খুন করেছে টিয়ারুলকে। বুথের সামনে নৃশংস ভাবে। এই নাকি গণতন্ত্র?” এই প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হুঁশিয়ারি দিয়ে দেন, বাংলার কংগ্রেস কর্মীরা এর বদলা নেবে। তবে, তা রাজনৈতিকভাবে। এ প্রসঙ্গে সোমেনের মন্তব্য, “একটা কথা বলে দিতে চাই! দ্ব্যর্থহীণ ভাবে, টিয়ারুলের এই মৃত্যুর প্রতিশোধ সারা বাংলার কংগ্রেস কর্মীরা নেবে ভোটের বাক্সে। কথা দিলাম।” উল্লেখ্য, রাজ্যের প্রথম দু’দফার ভোটে বিক্ষিপ্ত অশান্তির পর কমিশনের কাছে চ্যালেঞ্জ ছিল তৃতীয় দফার ভোট সুষ্ঠুভাবে করানো। দিনের শুরুটা খুব একটা খারাপও হয়েছিল না। মুর্শিদাবাদের মতো উত্তেজনাপ্রবণ জেলায় ভোট মোটামুটি শান্তিপূর্ণভাবেই হচ্ছিল। কিন্তু, তাল কাটল বেলা গড়াতেই। টিয়ারুলের মৃত্যু এই দফার ভোটকে কলঙ্কিত করে রাখল।
আসলে, মুর্শিদাবাদে এবারে কংগ্রেসের লড়াই অস্তিত্ব বাঁচানোর। আর তৃণমূলের কাছে এই জেলা প্রেস্টিজ ফাইট। তাই এই অস্তিত্ব আর প্রেস্টিজের লড়াইয়ের উত্তাপে কোনওভাবেই প্রেস্টিজ হারাতে রাজি নয় প্রদেশ কংগ্রেস। সোমেন মিত্রর কথাতেও তেমনটাই ইঙ্গিত মিলল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.