সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা আবহে বাতিল হয়ে যায় উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা (Higher Secondary Exam)। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের নির্দিষ্ট ফর্মুলাতেই ফলপ্রকাশ করা হয়। কিন্তু তারপর থেকে বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না। সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপ্তের ধর্ম উল্লেখ নিয়ে বিতর্কের জল গড়িয়েছে বহুদূর। কেন এত বেশি সংখ্যক পড়ুয়া অকৃতকার্য হল উচ্চ মাধ্যমিকে, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। সেই কারণ জানতে চেয়ে সংসদের সভানেত্রী মহুয়া দাসের কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করল স্কুল শিক্ষা দপ্তর।
বৃহস্পতিবার উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশের পর থেকেই বিভিন্ন জায়গায় অশান্তি শুরু হয়েছে। শুক্রবার তা বৃহৎ আকার নেয়। বীরভূম (Birbhum), মুর্শিদাবাদ (Murshidabad), নদিয়া (Nadia), হাওড়া (Howrah) -সহ বিভিন্ন জেলার স্কুলে বিক্ষোভে শামিল হয়েছে ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকেরা। অভিযোগ, মার্কশিট তৈরির সময় ভুলত্রুটি হয়েছে। এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে শুক্রবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে উচ্চ মাধ্যমিকে সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপ্ত রুমানা সুলতানার (Rumana Sultana) স্কুল অর্থাৎ কান্দি রাজা মনীন্দ্রচন্দ্র বালিকা বিদ্যালয়। একই ছবি দেখা গিয়েছে বীরভূমের (Birbhum) একাধিক স্কুলে। নদিয়ার শান্তিপুরে বাগআঁচড়া হাই স্কুলের যে পড়ুয়ারা উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করতে পারেননি, তারাও এদিন বিক্ষোভ দেখায়। আবার হাওড়ার আন্দুলের মহিয়াড়ি রানিবালা বালিকা বিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন পড়ুয়াও আত্মহত্যার হুমকিও দেয়।
রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে উচ্চ মাধ্যমিক পড়ুয়াদের বিক্ষোভ নজর এড়ায়নি স্কুল শিক্ষা দপ্তরের (School Education Department)। কেন উচ্চ মাধ্যমিকে এত বেশি সংখ্যক পড়ুয়া ফেল করল তা উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভানেত্রী মহুয়া দাসের (Mahua Das) কাছ থেকে জানতে চাওয়া হয়েছে। প্রশ্ন করা হয়েছে, তবে কি সংসদের নির্ধারিত ফর্মুলাই ত্রুটিপূর্ণ ছিল? তবে অনেকেই মনে করছেন, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা যাতে মূল পরীক্ষায় ভাল নম্বর পায়, সেকথা মাথায় রেখে একাদশ শ্রেণিতে কিছুটা শক্ত হাতেই খাতা দেখেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। তার ফলে নম্বর কিছুটা কমই হয়। সে সূত্রে নম্বর কমার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এছাড়াও কোন কোনও স্কুলের পড়ুয়ারা বিক্ষোভে শামিল হয়েছে, সেই রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.