সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অমিত শাহের (Amit Shah) গলায় এবার জ্যোতিপ্রিয়-পার্থ-অনুব্রত নাম। দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া নেতা-মন্ত্রীদের কেন তৃণমূল বহিষ্কার করেনি? ধর্মতলার সভা থেকে প্রশ্ন তুললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। একইসঙ্গে তাঁর চ্যালেঞ্জ, তৃণমূলের সাহস নেই ওদের বহিষ্কার করার। নেতা-মন্ত্রীর ঘর থেকে নোটের বান্ডিল উদ্ধার নিয়েও খোঁচা দিলেন তিনি। নাম না করে মহুয়া মৈত্রকেও নিশানা করেন শাহ।
বুধবার ধর্মতলার সভা থেকে তৃণমূলকে ‘অল আউট’ আক্রমণ করেন অমিত শাহ। একদিকে যেমন নেতা-মন্ত্রীর ঘর থেকে উদ্ধার হওয়া টাকা নিয়ে খোঁচা দিয়েছেন তিনি। তেমনই কেন তাঁদের দল থেকে সাসপেন্ড করা হয়নি, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। শাহের কথায়, “আমি গুজরাট থেকে আসছি, কিন্তু কোনও দিন রাজ্যের কোনও নেতার বাড়ি থেকে নোটের তাড়া উদ্ধার হতে দেখিনি। বাংলা একসময় পথ দেখাত দেশকে। এখন দুর্নীতিতে ডুবেছে বাংলা।” লোকসভায় বাংলা থেকে অন্তত ৩৫ আসনে বিজেপিকে জেতানোর আর্জিও শোনা গিয়েছে ‘শাহিকণ্ঠে’।
ঠিক এর পরেই দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীদের নাম ধরে ধরে আক্রমণ করেন। শাহের কথায়, “জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, অনুব্রত মণ্ডল ও পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে কেন এখনও সাসপেন্ড করল না তৃণমূল? আসলে ওদের সাসপেন্ড করতে পারবে না। সাহস নেই। যে দল দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত তাঁরা কীভাবে রাজ্য়ের উন্নতি করবে?” শুধু পার্থ-কেষ্ট-বালু নয়, নাম না করে সাংসদ মহুয়া মৈত্রকেও আক্রমণ করেন শাহ। বলেন, “উপহার-উপঢৌকন নিয়ে প্রশ্ন করা হচ্ছে। ওঁরা সংসদের পবিত্রতা নষ্ট করেছে।”
এমনকী, মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের দৈনিক দুর্গাস্তব নিয়েও খোঁচা দিয়েছেন শাহ। বলছেন, “দিদি রোজ দুর্গাস্তব করেন যাতে ওরা তিনজন (জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, অনুব্রত মণ্ডল ও পার্থ চট্টোপাধ্যায়) ভাইপোর নাম না নেন।” সবমিলিয়ে কলকাতার সভা থেকে তৃণমূলকে কার্যত তুলোধোনা করলেন শাহ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.