Advertisement
Advertisement

Breaking News

হু কিলড আবেশ, ঘুরেফিরে সেই প্রশ্ন 

২৭ নম্বর বাড়ি জুড়ে একটাই প্রশ্ন, হু কিলড আবেশ দাশগুপ্ত?

Who killed Abesh? The question arises again
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:July 30, 2016 8:56 am
  • Updated:August 5, 2019 4:36 pm  

অভিরূপ দাস: বাড়ির দরজার বাইরে কিছুদিন আগেই লাগানো হয়েছিল লতানো গাছটা৷ কীভাবে বাড়বে? ছোট্ট একটা দড়ির সঙ্গে সেটাকে বেঁধে দিয়েছিল ক্লাস ইলেভেনের কিশোর৷ সে দিকে চেয়ে চোখের জল মোছেন দিদিমা কৃষ্ণা পাল৷

২৭ নম্বর বাড়ি জুড়ে একটাই প্রশ্ন, হু কিলড আবেশ দাশগুপ্ত?

Advertisement

এসএম মুসরিফের লেখা ‘হু কিলড কারকারের’ সঙ্গে কলকাতার সতেরো বছরের ছেলের মৃত্যুর কোনও সম্পর্ক নেই৷ তবে মুদিয়ালির সাতাশ নম্বর বাড়ি জুড়ে ঘুরপাক খাচেছ এই প্রশ্নটাই৷ সতেরোর কৈশোরের খোঁজে সাতাশ নম্বর৷ সকাল থেকে আত্মীয়দের ভিড়৷ এই তো সেদিন অলিম্পিকে লিয়েন্ডারের হয়ে বাজি লড়েছিল সে৷ আজ তার ছবির পাশেই ‘জাস্টিস ফর আবেশ৷’

abesh_web

 মুদিয়ালি থেকে বাহাতের লম্বা রাস্তা৷ সোজা এলেই বাড়িটা৷ লেকভ্যালি৷ লম্বা পোস্টার জুড়ে মুষ্টিবদ্ধ হাত৷ যেন অদম্য প্রতিজ্ঞার৷ হারানো কৈশোর ফিরে পাওয়ার৷ ছিমছাম পাড়া এক নিমেষে হয়ে গিয়েছে স্টুডিও৷ ফ্ল্যাশের ঝলকানি৷ বন্ধুবান্ধবদের চিনতে অসুবিধাই হত৷ মূল রাস্তার এতটা ভিতরে৷ আবেশের বাড়ি না চিনে অনেকেই অনেকদিন কাছের পানের দোকানে খোঁজ নিয়েছেন৷ “আব তো সবহি পেহচান গয়ে৷ ইতনি লোগ আ রাহা হ্যায়৷” লম্বা দীর্ঘশ্বাসে দোকান গোটান পান দোকানের মালিক৷ এক শনিবারের সকালে বন্ধুদের পার্টিতে যেতে দেখেছিলেন পাড়ার সকলে৷ ফেরা হয়নি৷

থ্যাবড়ানো মোমবাতি৷ বন্ধুদের সই-ভরা ফ্লেক্স৷ এরই মধ্যে ছবির পাশে তাঁর প্রিয় নরম পানীয় রেখে যায় কেউ৷ শেষ বর্ষায় যার পুজোর কেনাকাটার প্ল্যান করার কথা, আচমকা সে হারিয়ে যাওয়ায় হতবাক পাড়াপড়শিরা৷

শুক্রবার তাঁর বাড়ির সামনে আগন্তুকদের ভিড়৷ স্কুল ফেরত বাড়ি যাওয়ার পথে পড়ুয়ারা এসেছে৷ অফিস ফেরত নিত্যযাত্রী৷ প্যারাম্বুলেটরে নাতনিকে নিয়ে জনৈক ঠাকুরমা৷ “এটাই আবেশের বাড়ি?” জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকিয়েছেন সাদা বারান্দার দিকে৷

যে বাড়িতে তার দুর্ঘটনা৷ জানা গিয়েছে সেখানেই আহত হয়ে পড়েছিল সে৷ চলে গিয়েও সেই বাড়ি নিয়ে কি অভিমানী আবেশ? “লেখকের বাড়ি, আর আসব না আড়ি…৷” তার পাশে খ্যাতনামা ব্যক্তিদের সই৷ বন্ধুদের হরেক লাইন৷ তাঁর নিকনেম এ ডি দিয়েছিল বন্ধুরা৷ কোথাও পেনের আঁচড়ে, ‘এ ডি মাই ম্যান ইউ উইল উইন৷’

শনিবার লেক ভ্যালি থেকে হাঁটবেন সকলে৷ হারানো শৈশবের জন্য? “আমাদের ছেলেটা তো চলে গেল৷ আর যেন কারও এরকম না হয়৷ কত স্বপ্ন ছিল…” কথা আটকে যায় আবেশের মামার৷ তার জন্য ছাপানো হয়েছে ফ্লেক্স৷ আত্মীয়রা আসছেন৷ নাতির জন্য কেঁদে চোখের জল শুকিয়েছে দিদিমারও৷ “জানেন, ভেবেছিলাম৷ এরকমই একদিন৷ সবাই আসবেন৷ ও অনেক বড় হবে৷ কোথা থেকে যে কী হয়ে গেল৷”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement