রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: গড়িয়ার বোড়ালের শ্মশানে মৃতদেহ কাণ্ড নিয়ে তদন্ত চায় বিজেপি (BJP West Bengal)। শনিবার এ কথা জানিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) প্রশ্ন, ‘এতগুলো লাশ কোথা থেকে এল। ধাপাতে পোড়ানো হয়নি কেন। কার লাশ, তাদের পরিজনরা কি জানেন?’। একইসঙ্গে লাশ কাণ্ড নিয়ে রাজ্যপালের পাশে দাঁড়িয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তাঁর বক্তব্য, গড়িয়ার ঘটনা নিয়ে জানতে রাজ্যপাল কলকাতা পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিমকে ডেকেছিলেন। সাংবিধানিক প্রধান হিসাবে রাজ্যপালের জানার অধিকার আছে। রাজ্যপালের সামনে যাওয়ার সাহস ফিরহাদ হাকিমের নেই বলেই উনি এড়িয়ে গিয়েছেন। দিলীপবাবুর অভিযোগ, বিভিন্ন অপকীর্তি ঢাকতেই সরকার ফিরহাদ হাকিমকে (Firhad Hakim) কলকাতা পুরসভার প্রশাসক করেছে। ফিরহাদকে কলকাতা পুরসভার অসফল মেয়র বলেও কটাক্ষ করেন তিনি।
রাজ্যপাল ও তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রর টুইট যুদ্ধ নিয়ে মহুয়াকে কটাক্ষ করে এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘রাজ্যপালের বিরুদ্ধে আগেও আক্রমণ করেছে তৃণমূল। যারা প্রশ্ন তুলেছে তাদের আক্রমণ করা হচ্ছে। আর তৃণমূল সাংসদদের কোনও কাজ নেই। বাড়িতে বসে থাকলে যা হয়। বর্তমান সংকটেও তৃণমূল সাংসদরা কোনও কাজ করেনি। তবে অবসর বিনোদনের জন্য রাজ্যপালের সঙ্গে টুইট যুদ্ধ করা ভাল।’ দিলীপবাবুর কথায়, ‘রাজ্যপালের টুইট যুদ্ধে না যাওয়াই ভাল।’ গড়িয়া কাণ্ড নিয়ে বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিনহাও এদিন বারাসতে এক দলীয় কর্মসূচিতে গিয়ে বলেছেন, ঘটনার জন্য ফিরহাদ হাকিমের পদত্যাগ করা উচিত। মুখ্যমন্ত্রীকেও ক্ষমা চাইতে হবে।
করোনা-আমফানের বিরুদ্ধে নয় তৃণমূল সরকার রাজ্যপালের বিরুদ্ধে লড়াই করছে বলে এদিন মন্তব্য করেছেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর বক্তব্য, রাজ্যপালকে ঠেকাতে তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা নেমে পড়েছে। মানুষ রাজ্যপালের কথাই বিশ্বাস করবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.