ফাইল ছবি
দীপঙ্কর মণ্ডল: কোভিড সতর্কতায় মার্চ মাস থেকে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পঠন-পাঠন বন্ধ। তার মধ্যেই রাজ্যের স্কুলগুলিতে এখন চলছে ভরতি প্রক্রিয়া। কিন্তু ক্লাস কবে শুরু হবে তা নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা কবে তা নিয়েও নীরব মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ।
এদিকে, আইসিএসই (ICSE) ও আইএসসি (ISC) পরীক্ষার নির্ঘণ্ট দ্রুত প্রকাশ করতে চায় ‘কাউন্সিল ফর দ্য ইন্ডিয়ান স্কুল সার্টিফিকেট এক্সামিনেশনস’ (সিআইএসসিই)। ইতিমধ্যে দেশের মুখ্যমন্ত্রীদের ৪ জানুয়ারি আংশিকভাবে স্কুল খুলতে চেয়ে চিঠি দিয়েছে কাউন্সিল। আইসিএসই স্কুলগুলির সর্বভারতীয় সংগঠনের সভাপতি সুজয় বিশ্বাস জানিয়েছেন, স্কুল খোলা নিয়ে এখনও সরকারি সম্মতি মেলেনি। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অধীন স্কুলগুলিতে কবে পঠন-পাঠন শুরু হবে তা নিয়ে স্কুল শিক্ষা দপ্তরের কাছে কোনও উত্তর নেই। বিকাশভবনের কর্তারা জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর সবুজ সংকেত না মেলা পর্যন্ত স্কুলে পঠন-পাঠন শুরু হবে না।
বাংলা-সহ কয়েকটি রাজ্যে আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচন। কাউন্সিল নির্বাচন কমিশনেও চিঠি দিয়ে জানতে চেয়েছে কবে নাগাদ ভোট হতে পারে তা জানানো হোক। সেই মতো তারা দশম ও দ্বাদশ-এর পরীক্ষার সূচি প্রকাশ করবে। বিকাশভবন সূত্রে খবর, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক কবে নেওয়া যেতে পারে তা নিয়ে আলোচনা চলছে। বিধানসভা ভোটের পর জুন নাগাদ দুটি পরীক্ষা হতে পারে বলে জানিয়েছেন স্কুলশিক্ষা দপ্তরের এক কর্তা। রাজ্যে এখনও দাপট দেখাচ্ছে করোনা ভাইরাস (Corona virus)। এই পরিস্থিতিতে জানুয়ারি মাসে স্কুল খোলার অনুমতি দেওয়া হবে কি না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়নি নবান্ন। স্কুলশিক্ষা দপ্তর জানিয়েছে, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন মুখ্যমন্ত্রী। কলকাতার স্কুলগুলি চাইছে উঁচু ক্লাসের পড়ুয়াদের দ্রুত পঠনপাঠন শুরু হোক। তাদের বক্তব্য, প্র্যাক্টিক্যাল ক্লাসের জন্য স্কুল খোলা দরকার। অভিভাবকদের একটি বড় অংশ চাইছে নবম থেকে দ্বাদশ পর্যন্ত স্কুল খোলা হোক।
কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন সিবিএসই (CBSE) স্কুলগুলিতেও পঠন পাঠন বন্ধ। সিবিএসই-র দশম ও দ্বাদশের পরীক্ষা কবে তাও ঘোষণা হয়নি। এমনকী সিবিএসই স্কুলগুলিতে ভরতির বিজ্ঞপ্তিও জারি হয়নি এখনও। কেন্দ্রীয় সরকার এ বিষয়ে নীরব।
এদিকে, কোভিড বিধি মেনে স্কুল খোলার জন্য একটি গাইডলাইন তৈরি করেছে স্কুলশিক্ষা দপ্তর। সম্প্রতি আইআইটি মাদ্রাজ খোলার পরে বেশকিছু পড়ুয়া কোভিড আক্রান্ত হওয়ায় ফের তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সেই উদাহরণ দিয়ে দপ্তরের এক কর্তা বলেন, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে বন্ধ, সেখানে কোন ভরসায় রাজ্যের স্কুল খোলা হবে? যদিও শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য জানা যায়নি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.