তরুণকান্তি দাস: পুলওয়ামার জঙ্গি হানায় শহিদ পরিবারের পাশে দাঁড়াল রাজ্য সরকার৷ দুই শহিদের পরিবারকে পাঁচ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ পাশাপাশি প্রত্যেক পরিবার থেকে একজনকে সরকারি চাকরি দেওয়ারও আশ্বাস দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বুধবার নবান্ন থেকে এই ঘোষণা করেন তিনি৷ জানান, সরকার সর্বদা শহিদদের পরিবারের পাশে রয়েছে৷
[এপিডিআরের যুদ্ধবিরোধী মিছিলে দুষ্কৃতী হানা, ধর্মতলায় ধুন্ধুমার ]
গত বৃহস্পতিবার পুলওয়ামার ভয়াবহ জঙ্গি হানায় শহিদ হন এ রাজ্যের দু’জন জওয়ান৷ এক জইশ জঙ্গির আত্মঘাতী হানায় নিহত হন সিআরপিএফ জওয়ান হাওড়ার বাবলু সাঁতরা ও নদীয়ার সুদীপ বিশ্বাস৷ এক সপ্তাহ কেটে গিয়েছে৷ এখনও প্রতিশোধ স্পৃহায় ফুটছে দেশবাসী৷ ইতিমধ্যে পুলওয়ামায় নিহত শহিদদের পাশে দাঁড়িয়েছে দেশের অন্যান্য রাজ্য৷ এবার দাঁড়ালেন এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও৷
এদিন ফের গুজব ছড়ানোর বিষয়ে কড়া ব্যবস্থার বার্তা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, “কোনওভাবে অশান্তি, সাম্প্রদায়িক উসকানি বরদাস্ত করা হবে না। কলকাতায় মাত্র একটি ঘটনা ঘটেছে। আমরা কড়া ব্যবস্থা নিয়েছি। কাশ্মীরীরা বলেছেন, কলকাতায় থেকে তাঁরা খুশি। নিশ্চিন্ত।”এদিন মুখ্যমন্ত্রী আবার বলেছেন, “কোনও গুজবে কান দেবেন না। প্ররোচনায় পা দেবেন না। একটা দল পরিকল্পিতভাবে এটা করছে। ওদের নাম বলতেও লজ্জা করে। ওরা অনেক বড় বড় কথা বলছে। রাজনৈতিক নেতা থেকে সাংবাদিক, সবাইকে আক্রমণ করছে। এমন ভাব করছে, যেন ওরা ভারতীয় আর সবাই পাকিস্তানি। এই মানসিকতাকে ধিক্কার জানাই। আমরা চাই ঐক্যবদ্ধ ভারত। তার জন্য লড়াই করছি। আর ওরা দেশভাগের চেষ্টা করছে। বিজেপি তো সংবিধানকে অসম্মান করছে।”
দেশে বিজেপি অস্থিরতা তৈরির চক্রান্ত করছে বলে অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, “জঙ্গিদের জাত, ধর্ম, বর্ণ হয় না। কিন্তু কোনও ঘটনায় কাউকে দাগিয়ে দেওয়া ঠিক নয়। ভারত গণতান্ত্রিক দেশ। ঐক্য চায়। গুজব, বিভাজন নয়। যখন কিছু ঘটে যায়, তারপর ভাবতে হয় যেন ফের এটা না ঘটে। সরকারকে এটা ভাবতে হবে, যাতে দেশ ঐক্যবদ্ধ থাকে। সব রাজ্যের আলাদা সংস্কৃতি আছে। একে অপরকে সম্মান জানাতে হবে। এটাই আমাদের ঐতিহ্য। সেটা মাথায় রাখা জরুরি।”
[শুরু হবে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর পথ চলা, ভাড়া কত জানেন?]
বুধবার জানবাজারে মানবাধিকার সংগঠন এপিডিআরের যুদ্ধবিরোধী মিছিলে হামলা চালায় একদল অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতী৷ যাকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় ধর্মতলা চত্বরে৷ সংগঠনের কর্মীদের অভিযোগ, হামলাকারীরা আরএসএস ও বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কর্মী৷ এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে পুলিশ৷ নবান্ন থেকে ফেরার পথে এই ঘটনারও সমালোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী৷ জানান, দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রশাসনকে৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.