ফাইল চিত্র
দীপঙ্কর মণ্ডল: করোনা (CoronaVirus) পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাজ্যে বহু ক্ষেত্রে জারি নিষেধাজ্ঞা। এই পরিস্থিতিতেই যশের ভ্রুকুটি।ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড় ধেয়ে আসছে বাংলার দিকে। যার জেরে চাষ থেকে ঘরবাড়ির ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। সেই কারণে সব দিক বিবেচনা করে কয়েকটি ক্ষেত্রে ছাড় দিল রাজ্য। তার মধ্যে মূলত রয়েছে কৃষি ক্ষেত্র ও গ্রামোন্নয়ন।
তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েই করোনা মোকাবিলায় ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। প্রথমেই সংক্রমণ রুখতে লোকাল ট্রেন বন্ধের সিদ্ধান্ত নেন। পরবর্তীতে রাজ্যে একাধিক ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। পুরোপুরি বন্ধ গণপরিবহন। সকালে মাত্র ৩ ঘণ্টা খোলা থাকছে বাজার ও দোকান। এই পরিস্থিতিতেই ধেঁয়ে আসছে ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড় যশ (Yaas)। এই ঘূর্ণিঝড় বাংলার উপকূলবর্তী এলাকায় কার্যত তাণ্ডব চালাবে বলেই জানাচ্ছে আবহাওয়া দপ্তর। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সবরকম ব্যবস্থা নিয়েছে রাজ্যে। ২৫ ও ২৬ মে গোটা রাত নবান্নে থাকবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকে পর্যবেক্ষণ করবেন পরিদর্শন।
এই ঝড়ে ফসল, ফুল ও ঘরবাড়ির ক্ষতির সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে। সেই কথা চিন্তা করেই নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য। জানানো হয়েছে, কৃষিজ ফসল, ফুল বাজারে বিক্রি, তা গুদামজাত করা, বা ফসল সামগ্রী বাজারে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে পরিবহনেও ছাড় দেওয়া হবে। ঝড়ে ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হলে মেরামতির কাজে যাতে সমস্যা না হয়, সেই কারণে গ্রামোন্নয়নের ক্ষেত্রেও দেওয়া হচ্ছে ছাড়। এতে দ্রুত যশ পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলা করা সহজ হবে বলে মনে করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, গতবছর মে মাসে আমফান তাণ্ডব চালিয়েছিল বঙ্গে। প্রচুর ক্ষতি হয়েছিল। বিস্তীর্ণ এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.